মেক্সিকোতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

ওমর ফারুক হিমেল
ওমর ফারুক হিমেল ওমর ফারুক হিমেল
প্রকাশিত: ০৫:৩১ পিএম, ০৭ মে ২০২৪

মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ক্লাস্ট্রো দ্য সোর-হুয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন করা হয়েছে। এ সময় প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্যান্য শিক্ষক এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

৬ মে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বৈশাখের আবহ সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের সঙ্গে, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রস্তুত করা বর্ণিল মুখোশ এবং চিত্তাকর্ষক ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত হয়ে উপস্থিত সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।

মেক্সিকোতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

গত ৩০ এপ্রিল ও ২ মে দূতাবাস এবং ক্লাস্ট্রো দ্য সোর-হুয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থী অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই মুখোশ ও ফেস্টুনগুলো রং এবং প্রস্তুত করার কাজে অংশগ্রহণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কারমেন বিয়াত্রিজ লোপেজ পোর্টিয়ো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে অভিনন্দন জানান। সেইসঙ্গে, তরুণদের সম্পৃক্ত করে পারস্পরিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করবার জন্য দূতাবাসের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মেক্সিকোতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক এসব মুখোশ এবং ফেস্টুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মতো রঙ করার জন্য এবং কর্মশালায় উৎসাহী অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

তিনি উপস্থিত সবাইকে ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ তে অংশগ্রহণ করার জন্য সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত, ডিন কারমেন বিয়াত্রিজ লোপেজ পোর্টিয়ো এবং ভাইস ডিন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।

মেক্সিকোতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা বৈশাখী নৃত্য পরিবেশন করে যা দর্শকদের মুগ্ধ করে। তাছাড়া, আয়েজিত এই অনুষ্ঠানটি উপস্থিত সবার মধ্যে বাংলাদেশের একটি আবহ সৃষ্টি করে। এছাড়া পরিবেশন করা ঐতিহ্যবাহী পান্তা ভাত, নানা পদের ভর্তা এবং সেমাইয়ের স্বাদ এই আয়োজনকে আরও বেশি আনন্দবহ করে তোলে।

এমআরএম/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]