মালয়েশিয়ায় সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২৪
সংগীত ও নৃত্য এবং বাংলা ভাষা- এ তিনটি বিষয়ে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এসিএলপি)। ছবি- সংগৃহীত

শেকড়ের সন্ধানে নিজস্ব সংস্কৃতিচর্চায় কাজ করছে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এমবিএফএ)। অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। মুষ্টিমেয় কিছু প্রবাসী পরিবারের নিবেদিত চেষ্টায় এটি একটি ছোট সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। মালয়েশিয়ার রেজিস্ট্রার অব সোসাইটির (আরওএস) অধীনে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক, ধর্মনিরপেক্ষ, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এটি।

গত ১০ বছরের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে এটি আজ প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি বৃহৎ পরিবারে পরিণত হয়েছে। সংগঠনটি মালয়েশিয়ার বৈচিত্রমন্ডিত সমাজ ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে দেশীয় সংস্কৃতি, আচার, ঐতিহ্য ও বাংলা ভাষা সংরক্ষণে সদা নিবেদিত।

এদিকে বাংলা সংস্কৃতির প্রচার এবং প্রসারে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নবপ্রজন্মের বাঙালিদের মধ্যে আপন সংস্কৃতির পরিচয় ও বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সাহসী, অভিজ্ঞ সংস্কৃতিকর্মীর হাত ধরে ২০১৯ সালের নভেম্বরে আর্ট কালচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম (এসিএলপি) আত্মপ্রকাশ করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে।

মালয়েশিয়ায় সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন

সংগীত ও নৃত্য এবং বাংলা ভাষা- এ তিনটি বিষয়ে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এসিএলপি)। ছবি- সংগৃহীত

এসিএলপি বর্তমানে সংগীত, নৃত্য এবং বাংলা ভাষা- এ তিনটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এর শিক্ষার্থীদের মনবিকাশের জন্য নিয়মিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় সংগীত, নৃত্য এবং বাংলা ভাষা- এ তিন বিষয়ে নবাগতদের ভর্তি ও প্রশিক্ষণে চলছে প্রচার প্রচারণা।

সোমবার (১ এপ্রিল ২০২৪) ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন এবং সংগঠনের বর্ধিত কার্যক্রমের সুবিধার্থে মিশনের সহযোগিতা কামনা করেন নেতারা।

মালয়েশিয়ায় সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন
সংগীত ও নৃত্য এবং বাংলা ভাষা- এ তিনটি বিষয়ে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এসিএলপি)। ছবি- সংগৃহীত

এ সময় হাইকমিশনার বাংলা সংস্কৃতি ও ভাষাকে বিদেশের মাটিতে প্রচার ও প্রচারণায় এমবিএফএর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং সংগঠনের কার্যক্রমকে বেগবান করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সহায়তার আশ্বাস দেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। এ সময় কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) প্রণব কুমান ভট্টাচার্য, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীন, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

মালয়েশিয়ায় সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন
সংগীত ও নৃত্য এবং বাংলা ভাষা- এ তিনটি বিষয়ে শিশু-কিশোরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন (এসিএলপি)। ছবি- সংগৃহীত

এছাড়া বৈঠকে, এমবিএফএর প্রতিনিধি দলের ডা. শংকর চন্দ্র পোদ্দার, মো. মাসুদুর রহমান, ক্যাপ্টেন জাকির হোসাইন, মোহাম্মদ শহীদুল হাসান, মাহফুজ কায়সার অপু, সঞ্জয় কুমার বশাক, তিশা কাবেজ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

মালয়েশিয়ায় সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন
সোমবার (১ এপ্রিল) মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সঙ্গে বৈঠক করেন ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল। ছবি- সংগৃহীত

এমবিএফএর ইসি সদস্য ডা. শংকরচন্দ্র পোদ্দার জানান, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনের অভিপ্রায় হলো মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পারস্পরিক যোগসূত্র স্থাপন করা এবং বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা। পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক সমন্বয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ান এবং বাংলাদেশিদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন দৃঢ় করার সুযোগ তৈরি করাও একটি অন্যতম লক্ষ্য।

মালয়েশিয়ায় সংস্কৃতি চর্চায় বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশন
সোমবার (১ এপ্রিল) মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সঙ্গে বৈঠক করেন ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধি দল। ছবি- সংগৃহীত

একই সঙ্গে এ সংগঠনটি মালয়েশিয়া এবং তার বাইরে বাংলাদেশকে সুপরিচিত করার লক্ষ্যে অবিরত কাজ করে যাচ্ছে এ বিষয়গুলো নিয়েই হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সাথে আমরা বৈঠক করেছি। বৈঠকে তিনি সংগঠনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ফোরামের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সবরকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন হাইকমিশনার।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]