মালদ্বীপে বাংলাদেশ মিশনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মোহাম্মদ মাহামুদুল
মোহাম্মদ মাহামুদুল মোহাম্মদ মাহামুদুল মালদ্বীপ
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, মালদ্বীপে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে হাইকমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়।

এরপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ। শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিরা।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা তাজুল ইসলাম। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. সোহেল পারভেজ, শিরিন ফারজানা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ময়নাল হোসেন, কনস্যুলার সহকারী। আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী নূরে আলম রিন্টু এবং মাসুদুর রহমান, সিইও, ন্যাশনাল ব্যাংক বক্তব্য দেন।

তারা স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায় ও দেশের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা মা-বোনদের অপরিসীম ত্যাগ ও ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে স্মরণ করেন।

তিনি জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি স্বাধীনতার সপক্ষে বন্ধুরাষ্ট্র ও তৎকালীন প্রবাসীদের জনমত গঠনের বিষয় স্মরণ করেন। মালদ্বীপ প্রবাসী সকল বাংলাদেশিদের তিনি মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

সবশেষে তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ও ২০৪১ সালে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]