কুয়েতে ৩ মাস গ্রীষ্মের ছুটির পর ফের চালু হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুয়েত প্রতিনিধি

কুয়েতে তিন মাস গ্রীষ্মকালীন ছুটি পর পুনরায় চালু হয়েছে দেশটির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর জুন মাসের শুরুতে বাড়তে থাকে গরমের প্রখরতা। ধীরে ধীরে এই তাপমাত্রার পরিমাণ ৫০ ডিগ্রি থেকে ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়। প্রতিবছর এই সময়ে দেশটির বাইরে প্রচন্ড তাপমাত্রার কারণে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

কুয়েতে ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও বাংলাদেশি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকা অন্যদেশীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে হয় প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি করে আসছেন একটি বাংলাদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করার জন্য।

এতে যেমন শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষা ভালোভাবে শিখতে পারবে অন্যদিকে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষাখাতে প্রতি মাসে যে বড় পরিমাণের রেমিট্যান্স বাইরে চলে যায় সেটা দেশের রেমিট্যান্সে যুক্ত হয়ে দেশের ডলার রির্জাভ পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করেন অভিভাবক ও কমিউনিটির নেতারা।

প্রাথমিক পাবলিক স্কুলের ছাত্ররা রোববার তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করেছে, ট্রাফিকের সুষ্ঠু প্রবাহ নিশ্চিত করতে সারা কুয়েতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো ভয় বা বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য স্কুলগুলো শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাগত জানায়। সরকারি-বেসরকারি আরবি স্কুলের অন্যসব শিক্ষার্থী সোমবার স্কুলে ফিরছে।

এদিকে, কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজের শিক্ষার্থীরা মিশ্র ক্লাসের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করছে, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই পদক্ষেপটি শিক্ষাবর্ষের মসৃণ শুরুতে ব্যাঘাত ঘটায়নি।

কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেছেন, বিচ্ছিন্ন ক্লাস চাপানোর জরুরি এবং দেরি সিদ্ধান্ত বিষয়গুলোর নিবন্ধন ব্যাহত করেছে এবং কেউ কেউ বলেছে যে তারা ফলস্বরূপ এক বছর হারাতে পারে। রোববার পড়াশোনা শুরুর মাত্র তিনদিন আগে গত বুধবার এ সিদ্ধান্ত জারি করা হয়।

শিক্ষার্থীরা এখনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে। তবে কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফায়েজ আল-ধাফিরি বলেছেন, ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য তাদের বিষয়ে নিবন্ধন করেছে।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]