লালন দর্শন এবং একজন রব ফকির

কর্মহীন জীবনে কোনো ভজন সাধন নাই

মো. ইয়াকুব আলী
মো. ইয়াকুব আলী মো. ইয়াকুব আলী
প্রকাশিত: ১১:২৪ এএম, ১৮ অক্টোবর ২০২২
আব্দুর রব ফকির, ছবি- সংগৃহীত

রব চাচাকে নিয়ে কখনও লিখবো ভাবিনি। কারণ রব চাচার মতো নিভৃতচারী মানুষ আমি আমার এই ছোট জীবনে দ্বিতীয়টি দেখিনি, আর রব চাচার মতো বড় মানুষেরও সাক্ষাৎ পাইনি। চাচার সঙ্গে আমার কখনও সরাসরি কথা হয়েছে এমন কোনো স্মৃতির কথা আজ আর মনে পড়ে না মানুষটা এতটাই নিভৃতচারী ছিলেন।

চাচাকে নিয়ে লিখতে গেলে একেবারে আমার শৈশবের দিনগুলোতে ফিরে যেতে হবে যখন সকল প্রকার উৎসবেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যোগ দিতাম। একদিন মা বললেন চলো ফকির পাড়ায় একটা ওরশ হচ্ছে দেখে আসি। আমাদের বাড়াদী গ্রামটা আমার খুবই প্রিয়। কারণ এটাকে আমরা বলি গ্রাম কিন্তু এটা আবার শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয়।

আমাদের গ্রামটা কুষ্টিয়া পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। আমাদের গ্রামটা থেকেই বারখাদা ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা শুরু। গ্রামে একদিকে যেমন পাকা রাস্তা আছে আবার আমাদের বাড়ির ঠিক পেছন থেকেই শুরু হয়েছে অবারিত সবুজ ফসলের ক্ষেত। তাই আমি সবাইকে বলতাম আমাদের বাড়িতে বেড়াতে গেলে তুমি শহরতলীর প্রকৃত রূপটা ধরতে পারবে।

আমাদের গ্রামে অনেকগুলো পাড়া বা মহল্লা আছে এবং পাড়ার নাম শুনেই বোঝা যায় সেই পাড়ার মানুষদের জীবিকা কি? যেমন ফকিরপাড়া, শাহপাড়া, খালপাড়া, ধোপাপাড়া ইত্যাদি। ফকির পাড়ার নামকরণ নিয়ে শুরুতে আমার ধারণা ছিল ওই পাড়ার সবলোক ভিক্ষা করে। পরে বুঝতে পারলাম ওই পাড়ার প্রায় সবাই ফকির লালন শাহের অনুসারী বাউল তাই এমন নামকরণ।

ফকির পাড়ার যে বাড়িতে ওরশের আয়োজন করা হয়েছিল সেটা ছিল রব চাচাদের বাড়ি। রব চাচার ছোটভাই আল্লেক আমার মেজো ভাই ইউনুসের সঙ্গে একই ক্লাসে পড়তো। আর রব চাচার মা ছিলেন আমাদের গ্রামের বিখ্যাত ধাত্রী। একবার অনেক রাত্রে পাশের বাড়ির চাচির দ্বিতীয় সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় চাচাকে অনেক রাতে ডাকতে গিয়েছিলাম। তক্ষুণই আমাদের সঙ্গে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছিলেন।

রব চাচার ছেলে পরান ছিল আমাদের খেলার সাথী। আমি যদিও বয়সে একটু বড় ছিলাম কিন্তু কনিষ্ঠদের সঙ্গে মিশতাম বলে পরানের সঙ্গে আমার সখ্যতা ছিল। উপরন্তু ফুপাতো ভাই জাহিদ যাকে আমরা ছোটনানা বলে ডাকি তিনি হচ্ছে পরানের অনেক কাছের মানুষ। সেইসূত্রেও অনেক বেশি হৃদ্যতা আছে পরানের সঙ্গে।

জাহিদ নানাও গান পাগল মানুষ নিজে গানের চর্চা করেন আবার পাড়ার সবাই মিলে মাঝে মধ্যে গানের আসর বসান। এমনকি আমি দেশ ছাড়ার আগমুহূর্তে উনার বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি সেখানেও গানের আসর বসেছে অবধারিতভাবেই। বাংলাদেশি বিয়ের ঐতিহ্যের একেবারে ষোলোকলা পূর্ণ করে তিনি নিজের বিয়ের আয়োজন করেছিলেন।

রব চাচা শারীরিকভাবে ছিলেন শীর্ণকায়। গ্রামের মানুষদের সঙ্গে তেমন একটা মেলামেশা করতে দেখিনি তবে যেটুকু দেখেছি চাচার কথাবার্তা ছিল অনেক ধীরস্থির এবং নীচুস্বরের। চাচাকে দেখতাম রাস্তার একপাশ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থল কুষ্টিয়া সুগার মিলে যাচ্ছেন। আবার মাঝে মধ্যে ঘাড়ে দোতরা ঝুলিয়ে সাইকেল চালিয়ে কোথাও যাচ্ছেন।

ছোটবেলায় রব চাচার সঙ্গে স্মৃতি বলতে এটুকুই। এরপর একটা সময় আমি কুষ্টিয়া ছেড়ে ঢাকায় এসে থিতু হলাম তাই আর রব চাচার বা পরানের তেমন কোনো খবর রাখা হয় নাই। মাঝে মধ্যে কুষ্টিয়াতে গেলে পরানের সঙ্গে দেখা হত আর শুনতাম রব চাচা হয়তোবা ঢাকা অথবা দেশের বাইরে গেছেন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তখন মনে মনে ধারণা হত চাচা হয়তোবা অনেক বড় মাপের বাউল।

বাংলাদেশের লোকঘরানার জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বাংলা’ তাদের দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব’ উৎসর্গ করেছিল লালনকে। আর সেই ব্যান্ডে বাংলা ব্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছিলেন রব চাচা। সিডি কিনে গানগুলো শুনতে যেয়েই বুঝতে পারলাম আমাদের গ্রামেই ঠিক কত বড় মাপের একজন লালন সাধক রয়েছেন। প্রত্যেকটা গানের শুরুতেই সেই গানের বিষয়বস্তু নিয়ে সামান্য আলোচনা করে গানটা শুরু করা হয়েছে।

সেখানে সবাই তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সিডির গানগুলোর চেয়ে এই আলোচনাগুলোই আমাকে বেশি টানতো। বারবার আলোচনাগুলো শুনতাম আর লালনের দর্শণ বোঝার চেষ্টা করতাম।

কিন্তু চাচার সম্পর্কে জানার প্রকৃত আগ্রহ তৈরি হল যখন তিনি মারা যাওয়ার খবর পেলাম জাহিদ নানার কাছ থেকে। মাঝে মধ্যেই নানাকে ফোন দিই কুশলাদি জিজ্ঞেস করার জন্য। এমনই একদিন কথা প্রসঙ্গে নানা বললেন রব কাকা মারা গেছেন। রব চাচার দর্শনের পরিচয় পেতে হলে আমাদের আগে লালনের কাছে ফিরে যেতে হবে। রব চাচা তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন লালনের দর্শন প্রচারে। কি ছিল সেই দর্শন।

আবুল আহসান চৌধুরী তার ‘লোকজাগরণের নায়ক’ প্রবন্ধে খুব সুন্দরভাবে লালনের দর্শন তুলে ধরেছেন। ‘লালন সারা জীবন মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী ছিলেন, মানবতাবাদী দর্শনকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন, ঘুণে-ধরা সমাজটাকে বদলাতে চেয়েছিলেন, জাত-ধর্মকে দূরে সরিয়ে মানুষকে মানবিকবোধে বিকশিত করার ব্রত নিয়েছিলেন। সামান্য মরমি ফকিরের এসব উল্টো ধারার কর্মকাণ্ড বরদাশত করবেন কেন সমাজের উচ্চবর্ণের মানুষ! তাই তিনি দুশমন হয়েছিলেন তাদের। পাষণ্ড, ব্রাত্য, ন্যাড়া, বেশরা, জারজ—এই সব গালমন্দ, আরোপিত কলঙ্ক আর নিন্দা তাঁকে শুনতে-সইতে হয়।’

কর্মহীন জীবনে কোনো ভজন সাধন নাইআব্দুর রব ফকিরের ছেলে পরান ফকির

রব চাচাও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন। বাংলালিংক বাংলার পথে অনুষ্ঠানের টিঙ্কু চৌধুরী যখন চাচার সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য বাড়িতে হাজির হন তখন আমরা দেখতে পাই একজন বাউল সাধকের সাদামাটা জীবনযাপন প্রণালী কিন্তু তার কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে লালনের মহান মানবতবাদের বাণী। শীর্ণকায় মানুষটার চোখের দিকে তাকালেই টের পাওয়া যায় কতখানি গভীর বিশ্বাস থেকে তিনি একেকটা শব্দ উচ্চারণ করে চলেছেন। বলার মধ্যে এমন এক ধরণের শান্ত ভঙ্গি যে মুহূর্তেই যেকোন শ্রোতাই মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার কথা শুনতে বাধ্য হবেন।

তিনি একে একে বলে যাচ্ছিলেন দোতারার কথা, সাধু সঙ্গের কথা, বাউল সাধক হয়ে ওঠার কথা। চাচার প্রত্যেকটা কথায় অনেক বেশি তথ্যবহুল। বাউল আসলে অনেক সাধনার পর হওয়া যায়। আর একজন বাউলের কর্তব্য বা করণীয় কি সেটাও তার বক্তব্য থেকে পরিষ্কার বোঝা যায়। আর অবধারিতভাবেই উঠে আসে লালনের জীবন এবং জীবন দর্শন।

এই সাক্ষাৎকারটা দেখলে আরও একটা জিনিস খুবই পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় সেটা হচ্ছে একজন বাউল সাধকের অনাড়ম্বর জীবন প্রণালীর। একটা টিনের ঘরের মেঝেতে শুধুমাত্র কাপড় বিছিয়ে মানুষকে আপ্যায়ন করানো হচ্ছে। খাবার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে মোটা চালের ভাত আর একটামাত্র মাছের তরকারি। আর যে প্লেট বা বাটিতে খাবার দেওয়া হচ্ছে সেগুলোও টিনের।

তিনি যে মাপের বাউল সাধক ছিলেন যদি উনি চাইতেন তাহলে জাগতিক জশ, খ্যাতি, ধনসম্পদ অনেক কিছুই অর্জন করতে পারতেন কিন্তু সেগুলো না করে নিজেকে জাগতিক মহামায়া থেকে নিজেকে দূরে রেখেছেন আর নিবিষ্ট মনে করে চলেছেন বাউল সাধনা।

রব চাচার বাউল সাধনার শুরু ১৯৭২ সাল থেকে। আব্দুর রহিম বয়াতি ছিলেন রব চাচার গুরু। পিতার কর্মসূত্রে রব চাচা কুষ্টিয়া সুগার মিলে চাকরি শুরু করলে পরিচয় হয় তার গুরুর সঙ্গে। রব চাচার ভাষায় লালন শাহ সবসময় কর্মকে ভালোবেসেছেন। কর্মহীন জীবনে কোনো ভজন সাধন নাই। কর্ম ছাড়া জীবন ছন্নছাড়া। ধর্মের একটা অংশ হচ্ছে কর্ম। কর্ম শেষে অবসর সময়ে যতটুকু সাধনা করা যাবে সেই সময়টুকুই সাধনার কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে।

রব চাচার ভাষায়, যারা লালন সাইজির মুরিদ তাদের কোনো জাতি ভেদাভেদ নাই। সব মানুষই তাদের কাছে মানুষ। রব চাচা আরও বলে চলেছেন, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্ট প্রকৃতি দেখে যেন আমরা সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে না যাই। সাঁইজি বলেছেন,

‘জগৎ মুক্তিতে ভোলালেন সাঁই।
ভক্তি দাও হে যাতে চরণ পাই।’

সংজ্ঞগুণে মানুষের চরিত্র নির্ধারণ হয়। যে যেই রকম সঙ্গ ধরে তার রঙ সেই রকমই হয়। যদি কেউ সাধুর কাছে যায় তাহলে সে সাধু হয়, যদি কেউ চোরের কাছে যায় তাহলে সে চোর হয়। এজন্য আমাদের মুরুব্বিরা বলে থাকেন, বাবাসকল যাই করিস মাঝে মাঝে একটু সৎসঙ্গ করিস। সৎসঙ্গ বলতে সতকথা আলোচনা করাকে বোঝানো হয়েছে কিন্তু এই সতকথা সব মানুষের মুখে আসে না। কিছু কিছু মুখ দিয়ে সৎ কথা আসে সেই মানুষগুলোর কাছে মাঝে মাঝে যেতে হবে। তার জন্য যদি দশ মাইল গাড়িতে করে ভ্রমণ করতে হয় তবুও যেতে হবে। সেই জন্য সব মানুষেরই একজন সৎ গুরুর দরকার যেমন লালনের গুরু ছিলেন সিরাজ সাঁই।

তাই লালন সাঁই বলেছেন,

‘ভবে মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার
সর্বসাধন সিদ্ধি হয় তার।’

‘সহজ মানুষ ভজে দেখ না রে মন দিব্যজ্ঞানে।
পাবি রে অমূল্যনিধি বর্তমানে।’

‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।
মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপা রে তুই মূল হারাবি।’

কর্মহীন জীবনে কোনো ভজন সাধন নাইবাবা আব্দুর রব ফকিরের সাথে ছেলে পরান ফকির

রব চাচার ভাষায়, মানুষের মাথায় লাঠি মেরে কিছু হবে না। মানুষকে ভালোবেসেই সবকিছু করতে হবে। এজন্য একজন মানুষগুরু দরকার। জীবনে একজন শিক্ষাগুরু থাকা প্রয়োজন।

এই মানুষগুলোই প্রকৃত বাউল সাধক যারা শুধুমাত্র নিজেদের কল্যাণের জন্য চিন্তা না করে সমগ্র মানবজাতির কথা চিন্তা করে যাচ্ছেন। আর তাদের শেখানো বিদ্যার বাণিজ্যিকীকরণ করে অনেকেই গাড়ি বাড়ি হাঁকিয়ে বসে আছেন। বর্তমান যুগে বাউলিয়ানা আর শুধু সাধনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই এখন সেটা শহুরে মানুষদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যার ফলে বাউল জীবনের যে দর্শন সেটার দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। লালন তার সঙ্গিত রচনায় কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করেছিলেন যার সন্ধান পাওয়া যায় প্রকৃত বাউলদের গায়কিতে কিন্তু বর্তমানের আধুনিক শহুরে বাউলদের গাওয়া বাউল সঙ্গিত একেবারে শুদ্ধ বাংলায়। তারা হয়তো জানেও না যে আসল শব্দ কোনটি ছিল।

একবার লালন সঙ্গিতের ওপর একজন গবেষকের একটা বই কিনে যার পরনাই হতাশ হয়েছিলাম কারণ সেখানে লালনের বিভিন্ন কথা আলোচনার পাশাপাশি বেশ কিছু বাউলের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছিল। আমার পরিষ্কার মনে আছে রব চাচার ঠিকানা ভুল ছিল কিন্তু লেখক ছিল একজন বড় মাপের লালন গবেষক। তাছাড়াও বইয়ে লালন গীতির বেশ বড় একটা সংকলন ছিল এবং সেখানে কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষার পরিবর্তে শুদ্ধ বাংলায় লালন গীতি লেখা ছিল।

লালনের দর্শনের সবচেয়ে ভালো এবং একইসাথে খারাপ দিক হচ্ছে এর কোনো লিখিত রূপ নেই যেটাকে মানুষ রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। বাস্তবতা এবং পরিস্থিতির আলোকে লালন যে বাণী এবং কর্ম সম্পাদন করেছিলেন সেগুলোই লালনের দর্শন। লালনের দর্শন একজন শুনে পালন করে আবার আরো দশজনের কাছে প্রচার করে সেটার বিস্তার ঘটিয়েছিলেন যেটাকে বইয়ের ভাষায় বলে হিউমেন চেইন।

তাই রব চাচার মতো সাধকেরা অন্তর দিয়ে সেটাকে অনুভব করে সেটা ধারণ করতেন এবং প্রচার করতেন যার ফলে এই মানুষগুলোর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে একটা দর্শনেরও মৃত্যু হয়। এভাবে চলতে থাকলে হয়তোবা একদিন লালনের দর্শন ধারণকারী মানুষকে খুঁজতে আতশি কাচ লাগবে। আর লালন যেহেতু সব ধর্ম বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার কথা প্রচার করে গেছেন তাই হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে তার ওপর ক্ষেপে আছে এবং সময়ে তাদের আক্রমণ করে সেটার প্রকাশও ঘটিয়েছে।

‘ইদানিং পত্রিকা খুললেই বিভিন্ন জেলায় সাধুসঙ্গের লোকেদের ওপর হামলার খবর পাওয়া যায় যার শুরুটা হয়েছিল এয়ারপোর্টের সামনে থেকে লালনের ভাস্কর্য সরানোর মধ্যে দিয়ে। একজন রব ফকির যিনি সারাজীবন লালনের তথা মানুষের হিতসাধনের সাধনা করে নিভৃতে মৃত্যুবরণ করেন আর আমরা সেই সাধকদের সাধনার আরাধ্যকে মূলধন বানিয়ে আরো একটা ব্যবসা খুলে বসি।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]