মিশিগানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সিলেট চেম্বার সভাপতির মতবিনিময়

আশিক রহমান
আশিক রহমান আশিক রহমান মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে
প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি তাহমিন আহমেদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে বাংলাদেশ আমেরিকান বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন অব মিশিগান (বাবাম)।

সোমবার রাতে হ্যামট্রামিক শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাবামের সভাপতি মো. আহাদ। সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি গিয়াস তালুকদার।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের তাহমিন আহমেদকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয় বাবামের পক্ষ থেকে।

সভায় বক্তব্যে দেন ব্যবসায়ী হাজী নিজাম উদ্দিন- মোহাম্মদ জামান, মইনুল হক, আহবাব আহমেদ শামীম, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট লয়েছ উদ্দিন, মিশিগান স্টেট আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক আহমেদ চান, সমাজকর্মী মুহিত মাহমুদ, বকুল তালুকদার, হেলাল খান, জুবারুল ইসলাম খোকন, কাজী এবাদ প্রমুখ।

চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমেদ বলেন, সিলেটের ব্যবসা সমৃদ্ধ করতে চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২০টি দাবি পেশ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সিলেট এ এজি ওসমানি বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা-সিলেট রোড ৬ লেনে উন্নতিকরণ, বিদেশে সবজি জাতীয় পণ্য রপ্তানির জন্য ওয়্যার হাউস স্থাপন, বিমানের ভাড়া কমানোসহ অনেক বিষয়ে দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সবগুলোই অনুমোদন পেয়ে যাবে।

সম্প্রতি ৭ জন ব্রিটিশ বাংলাদেশি দেশে গ্রেফতার ও জামিন না হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনে করি তার যদিও প্রবাসে থাকেন, কিন্তু তারা হয়ত এনভিআর ভিসা নিয়ে দেশে বিনিয়োগ করেছেন। এজন্য আইনগত জটিলতায় পড়েছেন। আশা করছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অবগত। সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।

‘আপনদের প্রতি অনুরোধ থাকবে যারা দেশে বিনিয়োগ করতে চান তাদের উচিত এনভিআর অর্থাৎ নো ভিসা রিকয়ার্ড না নেওয়ার জন্য। যদি বিনিয়োগ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে সরাসরি ভিসা নিয়ে দেশে বিনিয়োগ করবেন, তাহলে আর আইনত জটিলতা পোহাতে হবে না।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মিশিগানে স্থায়ী কনস্যুলেট অফিস স্থাপনে ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে তাহমিন আহমেদ বলেন, আপনাদের এই ন্যায্য দাবির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। আশা করি তিনি এই দাবি বাস্তবায়ন করবেন।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]