দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ ঘোষণা

মুহাম্মাদ ইছমাইল
মুহাম্মাদ ইছমাইল মুহাম্মাদ ইছমাইল , আরব আমিরাত প্রতিনিধি আরব আমিরাত
প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রতীকী ছবি

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রবাসীদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট। বেশি টাকা পাঠানো প্রবাসীদের ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। আগামী অক্টোবর মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। প্রবাসীদের মধ্যে অনুপ্রেরণা যোগাতেই এমন উদ্যোগ, বলছে কনস্যুলেট।

বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাস নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় এবার পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যারা শুধু বৈধপথে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রবাসীরা ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পাঁচটি আলাদা ক্যাটাগরির মধ্যে মাসিক ১২’শ দিরহাম বেতনের সমপরিমাণ ও এর নিচে সাধারণকর্মীদের থেকে ১০ জন, ১২’শ দিরহামের ওপরের সাধারণকর্মীদের ১০ জন, ব্যবসায়ী (পুরুষ) ১০ জন, ব্যবসায়ী (নারী) ৫ জন ও পেশাজীবীদের মধ্যে প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যাংকার, কনসালটেন্ট, সাংবাদিক, ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কর্মরত প্রবাসীদের থেকে ১০ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডের জন্য কনস্যুলেট সরবরাহকৃত নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে হবে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো প্রমাণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন দাখিল করতে হবে।

দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, শারজাহ ও ফুজাইরাতে বাংলাদেশ সমিতি, রাস আল খাইমাহতে বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুলে সরাসরি অথবা [email protected] ই-মেইল ঠিকানায় আবেদন দাখিল করা যাবে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, সর্বমোট ৪৫ ব্যক্তিকে এই পুরস্কারের আওতায় আনা হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণকর্মী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী থাকবেন। বাংলাদেশ কনস্যুলেটের এ ঘোষণায় এরই মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বেশ উৎসাহ দেখা গেছে।

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডের জন্য এখন পর্যন্ত শতাধিক আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সংখ্যা কয়েক হাজারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]