বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মেক্সিকো সিটিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মহান স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করেছে।
দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং দূতালয় ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সেই রাতে শাহাদতবরণকারী তার পরিবারের সব সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে মেক্সিকোর ‘‘ANAHUAC’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৬ জন শিক্ষার্থী জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও তার অবদানের ওপরে নির্মিত ‘BANGABANDHU IN OUR HEARTS FOREVER’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে, রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে সুদীর্ঘ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এবং সার্বভৌম ও স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম অবদানের পাশাপাশি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তার বিপ্লবী পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’-এর স্বপ্ন এবং জাতির পিতার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করেন। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু, তার রাজনৈতিক জীবন এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কারণসহ তার অবদান সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ প্রকাশ করে। পরে আগত অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস পালনের অংশ হিসাবে, রাষ্ট্রদূত গত ০৯ আগস্ট ‘‘UNAM’’ বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দক্ষিণ-এশিয়া বিষয়ক মডিউল-২ এর সমাপনী অধিবেশনে ‘বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচনায় ‘‘UNAM’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের শিক্ষার্থী এবং অনুষদের সদস্যসহ ৪০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম/এমএস