বাংলাদেশিদের জন্য ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে বিশেষ বাস

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ০২ মার্চ ২০২২

ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডের মেডিকা সীমান্তে আসা বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। পাশাপাশি পোল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও স্বদেশিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন।

ইউক্রেন থেকে মেডিকা সীমান্ত পেরিয়ে এলে সড়কের পাশেই রয়েছে একটি বাস, যার সামনের গ্লাসে বাংলাদেশের দূতাবাসের নাম ও লোগো লাগানো রয়েছে। পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস এই বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে। সীমান্ত পেরিয়ে আসা বাংলাদেশিরা বাসটিতে বিশ্রাম এবং আশ্রয় নিতে পারবেন। সেখানে তাদের খাবারসহ বিভিন্ন কিছু সরবরাহ করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা অনির্বাণ নিয়োগী। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কয়েকটা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ আছে। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে সবাই আমাকে জানাচ্ছেন। মোবাইলে যখনই আমরা তথ্য পাচ্ছি কারো সহায়তা দরকার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আমরা নিজেরাই যাচ্ছি বা রিসোর্স মোবিলাইজ করছি।’

বাসে আশ্রয় নেওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুসময় সরকার বলেন, ‘সীমান্ত ক্রস করার পর আমি জানতে পেরেছি এমন একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আপাতত আমি ওয়ারশো যাব। ওখানে গিয়ে বিশ্রাম নিয়ে পরে পরিকল্পনা করব কোথায় যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি ছিলেন। তারা এর আগেই পার হয়েছেন। আজকে এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ২০-২৫ জন পার হতে পেরেছেন।’

বাসে থাকা বাংলাদেশিরা সীমান্তের ইউক্রেন অংশে ভোগান্তির কথা বর্ণনা করে। কয়েকজন জানান ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডার মধ্যে তাদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।

এদিকে পোল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসীরাও বাংলাদেশিরাও ইউক্রেন থেকে আসা স্বদেশিদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন। মেডিকা সীমান্তে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দূতাবাসের দলের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।

হামিম নামের একজন জানান, তিনি ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে খাবার, পানি নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশিও ব্যক্তি উদ্যোগে তাদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি পোল্যান্ডের প্রবাসীদের আশ্রয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন আরেকজন। এদিকে ওয়ারশোতেও বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা করেছে দূতাবাস।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

এমআরএম/এমএস

টাইমলাইন  

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]