সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে দক্ষিণ কোরিয়ায় মানববন্ধন
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা এখন বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় বাংলাদেশিরা ১৫-১৭ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ার খিয়ংগিদোর খোয়াংজু শহরের উরিজল নামক বৌদ্ধবিহারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বহু ধর্ম এবং সংস্কৃতির মনোরম চর্চা এবং সহাবস্থানের কারণে সর্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের পরিচালনায় ও দক্ষিণ কোরিয়া পূজা পরিষদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়।
প্রবাসের কর্মব্যস্ততায় কোভিডের বিধিনিষেধ মেনে সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিক পূজা শুরু হলেও বাংলাদেশের অষ্টমী পূজার দিন থেকে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার খবরে ভক্তরা ক্ষুব্ধ এবং হতভম্ব হয়ে মায়ের আশীর্বাদে মনোনীবেশ করেন।
অমলিন আনন্দ বিষাদে রূপ নেওয়ায় অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, আরতী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব কাজেই কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। দশমী পূজার শেষে উপস্থিত ভক্তসহ কোরিয়ান বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের ঔৎসুক্যের জবাবে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনা সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন উদযাপন কমিটির সভাপতি আশুতোষ অধিকারী ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব গোস্বামী।
পরে ২৪ অক্টোবর দুপুর ১২টায় দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মজীবী ঐক্যবদ্ধভাবে পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
এসময় বক্তব্য দেন ড. হাসি রানী বাড়ৈ, অশোক দাশ, মনোজ প্রভাকর, গিরিজা প্রসাদ, সঞ্জয় যাদব, তমাল দাস, বাপ্পী চক্রবর্তী, প্রভাত দেবনাথ ও অভি দেবনাথ প্রমুখ।
বক্তারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে চলমান সহিংসতা রোধে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
পরে একটি প্রতিনিধি দল সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মারকলিপি দেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বর্তমান দূতালায় প্রধান, দ্বিতীয় সচিব মিসপি সরেন।
এমআরএম/এমএস