৯০ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২১

রি-ক্যালিব্রেশন পরিকল্পনার অধীনে ৯০ হাজারেরও বেশি অননুমোদিত অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ (জেআইএম)।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) জেআইএম উপ-মহাপরিচালক (নিয়ন্ত্রণ) মাখজান মহিউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, প্রত্যাবাসন-প্রত্যাবর্তন কর্মসূচির অধীনে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ৯৬ হাজার ৮০৯ জন অননুমোদিত অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

তবে এ প্রক্রিয়ায় এ পর্যন্ত মোট কতজন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা জানা যায়নি।

মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত এক লাখ ৭৪ হাজার ৬৮ জন ‘শ্রম পুনর্বিবেচনা কর্মসূচি’র অধীনে নিবন্ধিত হয়েছেন। এ কর্মসূচির আওতায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ স্থগিত হওয়ার কারণে শ্রমিক সংকটের মুখোমুখি পাঁচটি সেক্টরে (বৃক্ষরোপণ, কৃষি, নির্মাণ, উৎপাদন এবং পরিষেবা) নিয়োগকারীরা শ্রমিক নিয়োগ করতে পারবেন বলেও জানান উপ-মহাপরিচালক। তবে নিয়োগকর্তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের একটি বৈধ ভ্রমণ নথি আছে, তখন ইমিগ্রেশন যাচাইয়ের পর তাদের নিবন্ধন করা যাবে।

malaysia2.jpg

অবৈধ অভিবাসীদের পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা সম্পর্কে বার্নামা রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে মাখজান মহিউদ্দিন বলেন, ‘অভিবাসন দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার আগে নিয়োগকর্তাকে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি কোটা অনুমোদন নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাসহ ১৫টি দেশের বৈধ কাগজপত্র আছে, কেবল তাদের কর্মসূচির অধীনে একটি অস্থায়ী কর্মসংস্থান পাস (পিএলকেএস) দেওয়া হবে।’

তিনি আরও জানান, কৃষি এবং বৃক্ষরোপণ খাতে নিয়োগে শ্রমিকপ্রতি খরচ লাগবে দুই হাজার ৫৩৫ রিঙ্গিত, আর নির্মাণ, উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতে প্রতি শ্রমিকের জন্য লাগবে তিন হাজার ৭৪৫ রিঙ্গিত। প্রথম সেক্টর গ্রুপের জন্য ৬৪০ এবং দ্বিতীয় গ্রুপের জন্য এক হাজার ৮৫০ রিঙ্গিত লেভি ধার্য করা হয়েছে।

নবায়ন পরিকল্পনা ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর অথবা বৈধতার জন্য কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

জেআইএম উপ-মহাপরিচালক আশা প্রকাশ করেন, গ্রেফতার ও অভিযুক্ত হওয়া এড়াতে নিয়োগকর্তা বৈধতার এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করবেন। যারা নিজ দেশে ফেরত যেতে চান তাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩-এর অধীনে ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে হবে। এক্ষেত্রে প্লেন টিকিট ও বৈধ কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে। তবে যারা ফৌজদারি অপরাধ করেছেন তাদের আদালতে যেতে হবে।

এমকেআর/এইচএ/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]