মরিশাসে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন মরিশাস। এ উপলক্ষে পোর্ট লুইসে অবস্থিত মরিশাসের পাবলিক হাসপাতাল এ জে জিটু হাসপাতালে তিনটি হুইল চেয়ার দেয়া হয়।

হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ এ জে জিটু হাসপাতালের রিজিওনাল পরিচালক ইসমাইল নাউরের কাছে চেয়ারগুলো হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে ড. কেসি উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা, করোনায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত ও আক্রান্তদের সুস্থতা কামনা করা হয়।

হাইকমিশনার বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সংগ্রাম ও মানবতার কথা উল্লেখ করে বলেন, শেখ কামাল ছিলেন তারই আদর্শে বলীয়ান এক অসাধারণ তরুণ। তিনি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক।

মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান, মুহম্মদ আতাউল গতি ওসমানীর এডিসি হিসেবেও কাজ করেন। ক্রীড়ানুরাগী হিসেবে আজও যে নামটি বাঙালি জাতি স্মরণ করে সে হলো সবার প্রিয় শেখ কামাল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, মরিশাস সরকার সকল জনসাধারণকে সম্পূর্ণ ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি প্রবাসী সকল কর্মীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশিরা একটি সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হলে জি টু হাসপাতাল সহমর্মিতার সঙ্গে তাদের সবার চিকিৎসা দেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সকল চিকিৎসক এবং সহকারীদের দূতাবাসের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, মানবতাবাদী আদর্শ তরুণ শেখ কামালের ৭২তম জন্মদিনে এই উপহার রোগীদের ব্যবহারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলো।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র চিফ এক্সিকিউটিভ বলেন, হুইল চেয়ার হাসপাতালের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ। তাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ ধরনের মহতী উদ্যোগকে তথা মানবিক সহায়তার জন্য তিনি তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান।

এ জে জিটু হাসপাতালে রিজিওনাল পরিচালক ইসমাইল নাউর বাংলাদেশ হাইকমিশনের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মিশন থেকে প্রদত্ত হুইল চেয়ারগুলো হাসপাতালে আগত রোগীদের বিশেষ উপকারে আসবে এবং সবাইকে এভাবে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

এমআরএম/এএসএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]