মালয়েশিয়ায় মৃত্যুর মিছিলে ৩৮ বাংলাদেশি

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৫:৪৭ পিএম, ০৪ জুলাই ২০২১

মহামারি করোনা বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটিতে কোনোভাবেই কমছে না প্রাণহানি ও সংক্রমণের হার। জারি করা কঠোর বিধি-নিষেধের পরেও দিনে দিনে মৃত্যু বেড়েই চলছে। আর এ ভাইরাসের ভয়াল থাবায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৫ হাজার ৪৯৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এর মধ্যে ৩৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। শুধুমাত্র জুন মাসেই করোনায় প্রাণ গেছে ১৫ জন বাংলাদেশির। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৫ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫২ জন।

এদিকে ৪ জুলাই মো. ওয়াসিম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সকালে কুয়ালালামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৭৬ জন অভিবাসীর করোনা পরীক্ষা করে শনাক্ত করা হয় ১ লাখ ৪৬ হাজার ১৫৮ জনকে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১৪১ জন। মৃত্যবরণ করেছেন ১৯২ জন।

শনাক্তের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ৬৬ হাজার ৯৫৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২,৮৮২ জন। ৭ জন আইসিইউতে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ভয়াল করোনায় ৩৮ জন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন।

jagonews24

এদিকে ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ কার্যকর করতে মালয়েশিয়ায় কঠোর লকডাউনের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং সিস্টেম (এসওপি) মানতে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন। এছাড়া লকডাউনে যেসব প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানগুলো মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্রের অপব্যবহার করছে কি না, তা যাচাই করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। একইসঙ্গে দেশজুড়ে করোনার ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে বসানো হয়েছে অস্থায়ী রোড ব্লকও।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন সময় মোকাবিলা করছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে থাকা অভিবাসী কর্মীরা। মহামারিকালে প্রশ্নবিদ্ধ তাদের জীবনযাত্রার মান। মহামারিতে জারি করা নানা নিয়মনীতিতে জীবনের চাকা সচল রাখতে কঠিন সময় পার করছেন অভিবাসী কর্মীরা।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]