অবশেষে মালয়েশিয়া ছাড়ছেন উ.কোরিয়া দূতাবাসের কর্মকর্তারা

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ২১ মার্চ ২০২১

দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে, মালয়েশিয়াস্থ উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের কর্মী ও পরিবার তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা পেরিয়ে আজ বিকেলে দেশটি ত্যাগ করবে বলে জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা বার্নামা জানিয়েছে, দূতাবাস থেকে বের হতে দেখা বেশ কয়েকজনকে বহনকারী একটি বিশেষায়িত বাস মালয়েশিয়া সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

দূতাবাসের সমস্ত কূটনৈতিক কর্মী এবং তাদের নির্ভরশীলদের শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর আগে, উত্তর কোরিয়া মালয়েশিয়ার সঙ্গে সবধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছিল।

শুক্রবার (১৯ মার্চ) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অর্থপাচারের দায়ে উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক মুন চল মিয়ংকে মালয়েশিয়ার আদালতের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ায় এ বিরোধ সৃষ্টি হয়।

উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিককে মালয়েশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার জেরে পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা হিসেবে ২৪ ঘণ্টার ভেতরে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিকসহ সকল কর্মচারীকে এই সময়ের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়।

Malaysia1.jpg

উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই রায়কে ‘অবাস্তব, বানানো ও চক্রান্ত’ বলে অভিহিত করে মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। কোরিয়ার দাবি মুন চল মিয়ং সিঙ্গাপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন, তাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসিয়েছে।

এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। এটা পুরোপুরি ওয়াশিংটনের চক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রই হলো তাদের রাষ্ট্রের শত্রু।

এদিকে মালয়েশিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়ার এই বৈরি আচরণে বাধ্য হয়ে তারা কূটনৈতিককে বহিঃষ্কার করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধার এবং ভালো প্রতিবেশী সম্পর্কের চেতনাকে অসম্মান জানিয়েছে।

মালয়েশিয়ার সরকার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে মুন কে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তখন মুন সেই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে আদালতে যান।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]