লিসবনে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে ব্যানার, পোস্টার এবং ফেস্টুনের সমন্বয়ে দূতাবাসকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রঙিন পোষাকে এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। যদিও কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে পর্তুগিজ সরকারের আরোপিত বিধি-নিষেধ মেনে সীমিত পরিসরে দূতাবাস এ বছর এ কর্মসূচি আয়োজন করেছে।
সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।
পরবর্তীতে পর্তুগাল সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সকল শিশু কিশোরের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাঙালির অধিকার আদায়ের আপসহীন সংগ্রামে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশে আর প্রগতিশীল মূল্যবোধের অগ্রায়নে বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র সত্তাকে নিয়োজিত করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশের অধিবাসী এবং জাতি হিসেবে মেধা ও মননে পরিপূর্ণরূপে বিকশিত হতে পারছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দূতাবাস পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে দুটি পৃথক বয়সের ক্যাটাগরিতে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। যথাসময়ে বিজয়ীদের পুরস্কার এবং সকল প্রতিযোগীকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।
দূতাবাসে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্বে বঙ্গবন্ধুর উপর রচিত কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চলচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের কামনায় মোনাজাত করা হয়।
এমআরএম/জেআইএম