আবুধাবিতে শ্রমিক সঙ্কটে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা
দেশীয় শ্রমিকের অভাবে আবুধাবিতে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ভিসা চালু হলে দোকানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশ থেকে নিয়ে আসা যেত। দেশি দিয়ে কাজ করালে তুলনামূলক খরচ কম হয়। এছাড়াও করোনাভাইরাস আতঙ্ক চতুর্মুখী সংকটে ফেলেছে প্রবাসীদের।
যত দ্রুত সম্ভব ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার দেশটির আল জুড কোয়ালিটি বোচারি নামের মাংসের দোকানের শুভ উদ্বোধনকালে তারা এ কথা বলেন।
প্রবাসীরা জানান, আমিরাতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধের ৮ বছরেও খোলার অগ্রগতি না হওয়ায় শ্রমিক সঙ্কটে শোচনীয় পরিস্থিতিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা শ্রমিক নিয়োগে ঝুঁকছেন ভারত ও পাকিস্তানের দিকে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ওইসব দেশ থেকে হাজারের বেশি শ্রমিক এনেছেনও তারা। তবে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের শ্রমিক সঙ্কটে চাহিদা পূরণে দুর্বলতার এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের শ্রমবাজারটি এখন লুফে নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির খালিদিয়া এরিয়ার চৈতারামের পাশে চট্টগ্রাম, বোয়ালখালী থানার আবুধাবি প্রবাসী মো. আলী আজম ও মো. রবিউল আলম দুই বন্ধু মিলে (মাংসের দোকান) প্রতিষ্ঠা করেন।
উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেন, আমাদের দুই বন্ধুর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। সেজন্য আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। গরু, খাসী, হাঁস মুরগিসহ সবধরনের হালার পশুর মাংস আমাদের দোকানে পাওয়া যাবে। এছাড়াও দেশীয় ইলিশসহ সবধরনের মাছ ও ফ্রোজেন সবজি পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী হাজারী চর গ্রামের জলিল মাঝির বাড়ির মো. আবু ছৈয়্যদের ছেলে মো. আলী আজম ও একই থানার চর কিজির গ্রামের আমির বেপারি বাড়ির মৃত নজির আহমদের ছেলে মো. রবিউল আলম প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মওলনা মমতাজ, মো. জাবেদ, মো. টিটু, মো. রানা, মো. হান্নান, মো. ইসমাইল, মো. নেজাম, মো. আবুল বশরসহ অনেকে। এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াত, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য, কতিপয় বাংলাদেশির অপরাধ-কর্মকাণ্ডে ২০১২ সালের আগস্টে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নতুন নিয়োগ ভিসা বন্ধ করে দেয় আমিরাত। ভুক্তভোগী প্রবাসীদের দাবি দু’দেশের কূটনৈতিক তৎপরতা আবারও জোরদার করে শিগগিরই ভিসা খোলার ব্যবস্থা করা হোক।
নচেৎ ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকরা সুযোগ যেভাবে লুফে নিচ্ছে তাতে অচিরেই ওই দু’টি দেশের দখলে চলে যাবে বাংলাদেশের বৃহত্তম এ শ্রমবাজার। চলমান প্রেক্ষাপটে এমনটিই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন প্রবাসীরা।
এমআরএম/পিআর