সুখবর: ওমানে ভিসা নবায়নের সুযোগ

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২০

ওমানে ভিসার মেয়াদ পূর্বের ছয় মাসের বাধ্যবাধকতার আইন সাময়িকভাবে তুলে নিয়েছে দেশটির সরকার। ওমান থেকে বৈধভাবে দেশে ছুটিতে এসে আটকেপড়াদের পুনরায় ফিরতেই এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

বাংলাদেশে অবস্থানরত ইতোমধ্যে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদেরকে নিজ নিজ স্পন্সর বা কোম্পানির মাধ্যমে ভিসা দ্রুত অনলাইনে নবায়ন করতে হবে।

এখন থেকে যে সকল ওমানপ্রবাসী দেশে এসে করোনার কারণে আটকে পড়েছেন এবং যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে কিন্তু পুনরায় ওমান ফিরে আসতে চান, তাদের অবশ্যই প্রথমে অনলাইনে ভিসা নবায়ন করতে হবে।

দেশটির বিমানবন্দরগুলি পুনরায় চালু হওয়ার পর তারা ওমান ফিরতে পারবেন। বুধবার রয়েল ওমান পুলিশের (আরওপি) এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।

২২ জুলাই টাইমস অব ওমানের এক সংবাদে এই তথ্য নিশ্চিত করে খবর প্রকাশ করেছে। খবরে আরওপি’র বরাত দিয়ে বলা হয়েছে যে, ‘ভিসা নবায়ন করা যাবে কোম্পানির মাধ্যমে। স্পন্সর তার ভিসা নবায়ন করে একটি স্লিপ দেবে প্রবাসীকে। স্লিপটি এয়ারপোর্টে নিশ্চিত করবে যে তার ভিসা নবায়ন করা হয়েছে।

ওমানের পাসপোর্ট ও প্রবাসী অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মেজর মোহাম্মদ বিন রশিদ আল হাবসি বলেন, ‘করোনা মহামারি চলাকালীন রয়্যাল ওমান পুলিশ যে সুযোগ-সুবিধাগুলি চালু করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো অনলাইন ভিসা নবায়ন’।

তিনি আরও বলেন, ‘আরওপি দেশটিতে সমস্ত ভিসার স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়নের সুযোগগুলি সরবরাহ করার চেষ্টা করেছে। যেহেতু শারীরিকভাবে এই কাজটি করার জন্য পরিষেবাগুলি ১৯ মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রবাসীদের ওমানের বাইরে ১৮০ দিনেরও কম সময় কাটানোর প্রয়োজনীয়তা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগের ছয় মাসের বাধ্যবাধকতার আইনটি তারা সাময়িকভাবে তুলে নিয়েছে’।

আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়োগকারীদের স্পন্সর যারা তাদের ভিসা নবায়ন করতে চান তাদের সেই অনুযায়ী অধিদফতরের জেনারেলের কাছে যেতে হবে। করোনা বিস্তার সীমাবদ্ধ করতে আরওপি পরিষেবা অফিসগুলিতে লোকের ভিড় ও লোক জমায়েত রোধ করার জন্যও এই সুযোগগুলি সরবরাহ করা হয়েছে’।

রশিদ আল হাবসি বলেন, আরওপি একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির সাথে মিল রেখে ইলেকট্রনিক সেবা সরবরাহের জন্য কাজ করেছে, যা ইতোমধ্যে স্পন্সর ও পর্যটকদের ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, জিসিসির বাসিন্দাদের প্রবেশ ভিসা ও একাধিক প্রবেশ ভিসার মতো কয়েকটি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]