আমিরাতে আজানের বাক্যে বর্ণিল বুর্জ খলিফা

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , আমিরাত প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ এএম, ০৮ জুলাই ২০২০

সংযুক্ত আরব আমিরাতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০৭ দিন পর মসজিদগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। মসজিদ খুলে দেয়ার মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে বুর্জ খলিফায় আজান দেয়া হয়েছে।

এছাড়া আজানের বাক্য ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ বলার সঙ্গে সঙ্গে টাওয়ারে আলোকসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ বাক্য। বর্ণিল আলোয় আরবিতে ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ লেখা দেখে দর্শকরা আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিয়ে মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রেখেছেন। আজান শেষে আরব আমিরাতে মসজিদ খোলার জন্য টাওয়ারের পক্ষ থেকে সবাইকে অভিনন্দন জানানো হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।

এই দারুণ মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন হাজারও দর্শক। তারা সেসব ছবি ও ভিডিও পোস্ট করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

নানা উপলক্ষে বিভিন্ন সময় বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফাকে আলোকসজ্জায় সাজানো হয়। বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, কারো প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশার্থেও এমনটি করা হয়।

এর আগে করোনা মহামারির ফলে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দাদের জন্য খাবারের জন্য অর্থ জোগাড় করতে বুর্জ খলিফাকে একটি ঝলমলে দান বাক্সে পরিণত করা হয়। ফলে মানুষ সাহায্যের হাত বাড়ায়।

বুর্জ খলিফার উচ্চতা ৮২৮ মিটার (প্রায়)। পুরো স্থাপনাটি মোট ১৬৪ তলা। ১৬৩ তলা মাটির ওপরে, আর মাটির নিচে ১ তলা। স্থাপনাটিতে মোট ৫৮টি লিফট আছে। বুর্জ খলিফায় ৯০০টি অ্যাপার্টমেন্ট ও ৩০৪টি বিলাসবহুল হোটেল কক্ষ আছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বরাদ্দ জায়গার পরিমাণ ১১ হেক্টর। বুর্জ খলিফার প্রথম তলা থেকে ১৬০ তলা পর্যন্ত মোট ২৯০৯টি সিঁড়ি আছে।

বুর্জ খলিফার প্রথম নাম ছিল বুর্জ দুবাই। সংযুক্ত আরব আমিরাতের খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নামানুসারে পরবর্তীতে এর নাম বুর্জ খলিফা রাখা হয়। বুর্জ শব্দটির অর্থ টাওয়ার বা মিনার। ২০১০ সাল থেকে বুর্জ খলিফাই মানুষের হাতে নির্মিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থাপনা।

বুর্জ খলিফা পৃথিবীর নানা প্রান্তের ভ্রমণ প্রিয় মানুষের আকর্ষণের বিষয় হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে এটি দুবাইয়ের অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্রও।

এমএফ/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]