অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হলেন বাংলাদেশের অমিত চাকমা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ০৭ জুলাই ২০২০

ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার (ইউডব্লিউএ) ১৯তম ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হিসেবে যোগদান করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. অমিত চাকমা। এর আগে তিনি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিওর প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ইউডব্লিউএর চ্যান্সেলর রবার্ট ফ্রেঞ্চ বলেন, উচ্চমানের যোগ্যতা এবং বিস্তৃত দক্ষতার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট নিয়োগ দিয়েছে অধ্যাপক চাকমাকে।

অমিত চাকমা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন প্রাকৃতিক গ্যাস প্রকৌশল এবং পেট্রোলিয়াম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক গবেষণার জন্য। তিনি ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তনে তাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব সায়েন্স’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

১৯৫৯ সালে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের এক চাকমা পরিবারে জন্ম এই গবেষকের। বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পড়াশোনা শেষে তিনি আলজেরিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। সেখানে রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১৯৭৭ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। সেখান থেকে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য কানাডায় পাড়ি দেন অমিত চাকমা। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে রাসায়নিক প্রকৌশল বিষয়ে এমএএসসি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগারির রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগে অধ্যাপক, ১৯৯৬ সালে ইউনিভার্সিটি অব রেজিনায় রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গবেষক। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ পর্যন্ত রেগিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট রিসার্চ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখানে থাকার সময়ই কানাডার টপ ৪০ আন্ডার ৪০-এ স্থান করে নেন অমিত।

তিনি ২০০১ সালে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর অ্যাকাডেমিক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সর্বশেষ দুই মেয়াদে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অন্টারিওর উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।

এসআর/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]