স্লোভেনিয়াতে বাড়ছে আক্রান্ত, তিনমাসে বেকার ভাতার আবেদন ১৩ হাজার
স্লোভেনিয়াতে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন করে আরও আটজন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১৫ মে ইউরোপের সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে করোনা অবসানের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে গত এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
এখন পর্যন্ত মধ্য ইউরোপের এ দেশটিতে সর্বমোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫১১ জন। মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৯ জন। চিকিৎসা শেষে ঘরে ফিরেছেন ১,৩৫৯ জন।
গত কয়েকদিন যাবৎ সংক্রমণের হার কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির অনেক সাধারণ মানুষ মনে করছেন দ্বিতীয় ধাপে করোনা বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে স্লোভেনিয়া। যদিও নির্দিষ্ট কিছু জায়গা ছাড়া এখন আর আগের মতো মাস্ক পরিধানে বাধ্যবাধকতা নেই তবুও গতকাল থেকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে কড়া নিরাপত্তা আরোপ করা হয়েছে।
সার্বিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, কসোভো, মেসিডোনিয়া বলকানে সকল দেশের নাগরিকদেরকে স্লোভেনিয়াতে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে এখন থেকে বিশেষ কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে তাদের সবাইকে স্লোভেনিয়াতে প্রবেশের পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে কোভিড-১৯ এর টেস্ট করাতে হবে এবং স্লোভেনিয়াতে প্রবেশের সাথে সাথে বলকানে সকল দেশের নাগরিকদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশনে পাঠানো হবে।
স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইয়ানেজ ইনশার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তী দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনৈতিক খাতকে পুনর্বাসন করা। স্থানীয় দ্যস্লোভেনিয়াডটকমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী গত তিন মাসে স্লোভেনিয়াতে তেরো হাজার মানুষ বেকারত্বের ভাতার জন্য আবেদন করেছেন। এটি ১৯৯১ সালের স্বাধীনতা পরবর্তী স্লোভেনিয়াতে সর্বোচ্চ।
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক সঙ্কট কাঁটিয়ে উঠার জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্লোভেনিয়াকে ৫.১ বিলিয়ন অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা এসেছে। স্থানীয় পত্রিকা দ্যস্লোভেনিয়াডটকম সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫.১ বিলিয়নের মধ্যে ২.৫৭৯ বিলিয়ন ইউরো দেওয়া হবে আর্থিক অনুদান হিসেবে এবং ২.৪৯২ বিলিয়ন অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে ঋণ হিসেবে।
এমআরএম/পিআর