সার্কিট ব্রেকার তোলার দ্বিতীয় ধাপেও অভিবাসীরা থাকবে ডরমেটরিতে

ওমর ফারুকী শিপন
ওমর ফারুকী শিপন ওমর ফারুকী শিপন , সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, ১৮ জুন ২০২০

সিঙ্গাপুরে সার্কিট ব্রেকার তুলে নেয়ার দ্বিতীয় ধাপে অভিবাসীদের ডরমেটরিতেই থাকতে হবে। ফলে সংক্রমণের নতুন ঝুঁকি হ্রাস হবে৷ কর্মক্ষেত্রের বাইরে শ্রমিকদের চলাচল সাধারণ মানুষের সাথে ক্রস-ইনফেকশনের অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করে।

বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয় (এমওএম) থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কমিউনিটি এবং ডরমেটরি উভয় ক্ষেত্রে সংক্রমণ দীর্ঘ সময়ের জন্য নিম্ন স্তরে রয়েছে। করোনাভাইরাসমুক্ত এমন স্থানে থাকা শ্রমিকরা অনুমোদিত জায়গাগুলোতে ব্যক্তিগত কাজ চালানোর জন্য ডরমেটরি ছেড়ে যেতে সক্ষম হবেন, যেমন বিনোদন কেন্দ্র।

ইতোমধ্যে, শ্রমিকরা ডরমেটরিতে সাম্প্রদায়িক সুযোগগুলো গ্রহণ করতে পারছে। নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই তাদের কর্মীদের ডরমেটরিতে খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করা অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ সোমবার ঘোষণা করেছিল, সিঙ্গাপুর সার্কিট ব্রেকার তুলে নেওয়ার দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করায় বেশিরভাগ ব্যবসায়িক এবং সামাজিক কার্যক্রম শুক্রবার থেকে আবার শুরু করার অনুমতি দেওয়া হবে।

বাইরে খাওয়ার জন্য পাঁচজনের ছোট গ্রুপ অনুমোদিত। সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ৯৪ শতাংশই ডরমেটরিতে বসবাসরত।

এমওএম বলছে, ডরমেটরির অভ্যন্তরীণ দৈনিক চলাফেরার সাথে শ্রমিকরা করোনাভাইরাসমুক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য সজাগ থাকার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে সংস্থাগুলোর ওয়ার্ক সাইট থেকে করোনা ডরমেটরিতে সংক্রমণ নিয়ে আসতে পারে।

জনশক্তি মন্ত্রণালয় এবং আন্তঃএজেন্সি টাস্কফোর্স ডরমেটরিতে করোনাভাইরাসমুক্ত করতে কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার শ্রমিক করোনামুক্ত চত্বরে বসবাস করছে। তারা করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছে বা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে উঠেছে।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]