করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপ প্রবাসীদের নিষ্প্রাণ ঈদ কাল

মিরন নাজমুল
মিরন নাজমুল মিরন নাজমুল , স্পেন প্রতিনিধি স্পেন
প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ২৩ মে ২০২০

আজ শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে কাল সারা ইউরেপে প্রায় দশ লাখের অধিক প্রবাসীরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে। সারা ইউরোপে করোনা মহামারির বিপর্যয়ের পর এবার নিষ্প্রাণ ঈদ পালন করবে বাংলাদেশিরা। অন্যান্য বছরের মতো বিশেষ কোনো প্রস্তুতি ছাড়া সাদামাটাভাবেই ঈদ কাটবে বলে জানান রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

জানা গেছে, লকডাউনের কারণে এবার ঈদের জামাত হচ্ছে না। বাংলাদেশি অধ্যুসিত ইউরোপের বড় বড় শহরগুলোর মধ্যে লন্ডন, মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, রোম, মিলান, প্যারিস, বার্লিন, লিসবন, অ্যাথেন্স, ভিয়েনা, স্টকহোম, ব্রাসেলস, জুরিখসহ কিছু কিছু শহরে লকডাউনের শিথিলতা আসলেও জনসমাগম করে ঈদের জামাত করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও।

তাই সারা ইউরোপ এক রকম ঈদের জামাত ও জামাত পরবর্তী কোলাকুলি ছাড়াই নিষ্প্রাণ ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে প্রবাসীরা। ইউরোপের শহরগুলোতে অবস্থিত বাংলাদেশি ঈদের পোশাক ও ঈদ সামগ্রীর দোকানগুলিতে ভিড় নেই বললেই চলে। অন্যান্য বছরের মতো ব্যস্ততাও দেখা যাইনি কাউকে।

করোনা মহামারি সঙ্কট ও পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিক দুর্দশার শিকার হয়েছেন। অর্থনৈতিক সঙ্কটে তারা চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন। এই অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রবাসীরা।

eid-spain2.jpg

বিশেষ করে ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রাজিল করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিকহাবে ভেঙে পড়েছে। ওইসব দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠা বন্ধ করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। চাকরি হারিয়েছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। অনিশ্চিত সময়ে বছর ঘুরে আসা চিরচেনা ঈদের আবহে তারা ছন্দ মেলাতে পারছেন না।

প্রতি বছরের ঈদের বাজেটে নিজের পরিবারের জন্য দেশে ঈদের টাকাও পাঠাতে পারেনি বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি। প্রিয় পরিবারকে ঈদের টাকা না পাঠাতে পেরে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেক প্রবাসী।

মহামারির এই চরম দুর্যোগের ভেতরেই পুরো ইউরোপে বাংলাদেশি অধ্যুষিত শহরগুলো ইফতার মাহফিল ও তারাবীর জামাতবিহীন নিরানন্দ রমজান কাটিয়ে এখন শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখবে। কিন্তু করোনায় বিপর্যস্ত ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিরা রোজা শেষে সেই খুশির ঈদ বার্তায় ছন্দ হারিয়ে নিষ্প্রাণ ও অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঈদুল ফিতর কাটাবে।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]