সৌদিতে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা
সৌদি আরবের তায়েফে মোবারক হোসেন (২৮) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুই সৌদি নাগরিক। গভীর রাতে দেশটির তায়েফ প্রদেশে মরুপথে ছিনতাইকারীরা মোবারক হোসেনের গাড়ি অবরোধ। এ সময় নিহতের সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ, মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা।
জানা গেছে, মোবারক দেশটির তাইফ প্রদেশে গাড়ি চালাতেন। নিহতের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার সদর উপজেলাধীয় আবদুল খালেকের ছেলে।
৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে তায়েক শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আল খোরমা নামক সিটিতে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
প্রবাসী নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, নিহত মোবারক হোসেন পানির গাড়ি চালাতেন। ঘটনার রাতে তিনি একাই গাড়ি নিয়ে নির্দিষ্টস্থানে কুয়া থেকে পানি ভরে আনতে যাচ্ছিলেন। তাইফ শহর থেকে কুয়াতে যাবার পথটি ছিল জনমানবহীন ও মরুভূমির রাস্তা।
তিনি জানান, ছিনতাইকারীদের সঙ্গে মোবারক হোসেনের ধস্তাধস্তি হয়। তখন তারা তাকে মারধরও করে। এরপর মানিব্যাগ দিতে অস্বীকার করলে এক পর্যায়ে মোবারক হোসেনের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
মোবারক হোসেন গাড়ি থেকে লুটিয়ে পড়ে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সৌদি পুলিশ। ৬ মার্চ সকাল সাড়ে ৬টায় দেশটির পুলিশ মোবারকের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ তার সৌদি মালিক (কপিলকে) কল দিয়ে খুন হওয়ার বিষয়ে অবগত করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রবাসীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের মামা জামির হোসেন জানান, পরিবারের সুখের আশায় ২ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মোবারক হোসেন। কিন্তু এভাবে সেই চলে যাবে ভাবতেও পারছি না। পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারটি। নিহতের লাশ সৌদি আরবের খোরমা সেন্টার হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এমআরএম/এমএস