মালয়েশিয়ায় প্রবেশে কড়াকড়ি

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২০

মালয়েশিয়ায় প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন। বিমানবন্দরে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বছরের শুরুর দিন থেকে বিমানবন্দরে নতুন করে আরও ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

এছাড়া চুরি যাওয়া কিংবা হারিয়ে যাওয়া পণ্য খুঁজে পেতে ব্যবস্থাপনা জোরদারে ডাটাবেজ আপডেট করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর বাংলাদেশ থেকে ঘুরতে যাওয়া তিন হাজার ১৫৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ। তাদের ক্ষেত্রে এনটিএল (নট টু ল্যান্ড) বিধান কার্যকর করা হয়।

মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাজায়মি দাউদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা পাওয়া মানেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া নয়। আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনায়। গত বছর মোট ৪৪ হাজার ৯৪১ বিদেশিকে এনটিএল বিধানের অধীনে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এর মধ্যে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার ২০ হাজার ৬৭৬ জন, ভারতের ছয় হাজার ৩৯৮ জন, চীনের চার হাজার ৭৯৩ জন, বাংলাদেশের তিন হাজার ১৫৫ জন, মিয়ানমারের দুই হাজার ৪৪৫ জন। বাকিরা বিভিন্ন দেশের।

খায়রুল দাজায়মি বলেন, কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা গত বছরের আগস্টে বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছিল। ওই সময়ও ৩৬৫ বিদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এরপর আরও বেশি কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশকে আরও বেশি নিরাপদ করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালক আরও বলেন, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দিতে রাজি নয়। যেসব বিদেশিকে সন্দেহ করা হবে অথবা যারা দেশে প্রবেশের নিয়মগুলো সর্ম্পকে অবহিত থাকবে না, তারা এ দেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। একজন বিদেশি দর্শনার্থীর যদি ভিসা থাকে এবং সব তথ্যও থাকে তারপরও তাকে ইমিগ্রেশন যাচাই প্রক্রিয়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এসওপি) মাধ্যমে যেতে হবে। তা না হলে এনটিএলের বিধান অনুযায়ী তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

বিদেশি পর্যটকদের দেশে ফেরার ফিরতি বিমান টিকিট, অবস্থান করার হোটেল বুকিং, মেয়াদসহ ভিসা, বৈধ পাসপোর্ট ও অর্থনৈতিক অবস্থার প্রমাণ দিতে না পারলে কালো তালিকাভুক্ত করে তাকে ফেরত পাঠনো হবে বলেও জানান তিনি।

এমএআর/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]