কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন তারা
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা; ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ, সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোহাম্মদ আলীকে সিলেটবাসী সারাজীবন স্মরণ করবে। তাদের পরবর্তী প্রজন্ম স্মরণ করবে শ্রদ্ধার সঙ্গে। কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন এসব মানুষেরা।
শুক্রবার কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আলীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুরাদুল হক চৌধুরী মুরাদের সঞ্চালনায় বক্তারা এসব বলেন।
শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন আলহাজ জোবায়ের আহমেদ, কবি আব্দুল মালিক, আশরাক আলী ফেরদৌস, ছাদ মিয়া, হারুন মিয়া, জাহিদুল হক, মিজানুর রহমান, আম্বিয়া বাহার, ওদুদ আহমেদ, সিরাজ মিয়া, মো. সুলেমান, নোমান আহমেদ, লেচু মিয়া প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা ফায়সাল আহমদ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে স্যার ফজলে হাসান আবেদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন ‘নাইট’ উপাধি পাওয়া দেশের এই কৃতী সন্তান। সৈয়দা সুফিয়া খাতুন এবং সিদ্দিক হাসানের দ্বিতীয় সন্তান আবেদ ১৯৫২ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যায় সম্মানবর্ষে ভর্তি হওয়ার পর ইংল্যান্ডে চলে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য। তার ছোট চাচা সায়ীদুল হাসান ছিলেন লন্ডনে পাকিস্তান দূতাবাসের বাণিজ্য সচিব। চাচার কথায় ১৯৫৪ সালে আবেদ ভর্তি হন স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগে।
দুই বছর বাদে সেখান থেকে লন্ডনে গিয়ে ভর্তি হন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে। ১৯৬২ সালে ‘কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিং’র ওপর তিনি প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন। লন্ডনে থাকা অবস্থায় ১৯৫৮ সালে তার মা সৈয়দা সুফিয়া খাতুন মারা যান।
এমআরএম/জেআইএম