নরওয়ে নির্মূল কমিটির সম্মেলন ও জাতীয় শোক দিবস পালন
জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নরওয়ে শাখা। একই সঙ্গে সম্মেলনও করেছে সংগঠনটি। রোববার (২৫ আগস্ট) নরওয়ের রাজধানী অসলোর এক রেস্তোরাঁয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলোচনার মূল বিষয় ছিল ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'।
সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, নরওয়ে শাখার ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি এবং পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়।
কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হলেন- সভাপতি খোরশেদ আহমেদ, সহ-সভাপতি সাইফ শামস, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাসুম, দফতর এবং অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রূপক চৌধুরী, আন্তর্জাতিক এবং প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ রুবায়েত শরীফ।
উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা হলেন- আব্দুল হামিদ খান, মুস্তাফিজুর রহমান খান, জয়ধন বড়ুয়া, রুহুল আমিন মজুমদার এবং মফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারসহ যারা ১৫ আগস্ট শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোরশেদ আহমেদ এবং পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান খান। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মোহাম্মদ মাসুম ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সর্ব ইউরোপীয় সভাপতি তরুণ কান্তি চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আনসার আহমেদ উল্লাহ।
অসলো ইউনিভার্সিটির মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ড. অসীম কুমার দত্ত রায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে জাতিকে উজ্জীবিত করার বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন নরওয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ খান, সহ-সভাপতি সাইফ শামস, সুপ্রিয় বড়ুয়া, নির্মল ব্রহ্মচারী, নরওয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রূপক চৌধুরী, তিলক বড়ুয়া, রুপজ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, মুহম্মদ মিঠু, আনিসুর রহমান, গিয়াসুদ্দিন, শাহরিয়ার নিলয়, সুইডিশ নির্মূল কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক শিল্পী চৌধুরী, মিসেস কানু গুহসহ কয়েকজন নরওয়েজিয়ান অতিথি। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নরওয়েজিয়ান -ভেরা সেথের একজন লেখিকা এবং সাংস্কৃতিককর্মী। যিনি বাংলা বলতে পারেন। বর্তমানে তিনি একটি এনজিওর মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ক্রমশ হারিয়ে যাওয়া লোকসংগীতকে রক্ষা করার জন্য শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করছেন ।
অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্যায়ে রাতের খাবার পরিবেশন করা হয় এবং সঙ্গে ভেরা সেথের ফোক সংগীতের ভিডিও দেখানো হয়।
এসআর/পিআর