মালয়েশিয়ায় অবৈধদের প্রত্যাবর্তনে বিমানভাড়া কমানোর প্রস্তাব

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ২৪ জুলাই ২০১৯

মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ আকাশপথে সেবা দেওয়া বিভিন্ন বিমান সংস্থার কান্ট্রি ম্যানেজারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম। বৈঠকে বিফোরজি প্রোগ্রামের আওতায় অবৈধ প্রবাসীদের দেশে প্রত্যাবর্তনে হয়রানি মুক্ত সহজ পদ্ধতিতে পরিচালনার ক্ষেত্রে হাইকমিশনের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিভিন্ন বিমান সংস্থার কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় দূতাবাসের হলরুমে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিফোরজি প্রোগ্রামের আওতায় দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের জন্য হাইকমিশনার বিমানের টিকিটের মূল্য হ্রাসের প্রস্তাব রাখলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন উপস্থিত বিভিন্ন এয়ার লাইন্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে হাইকমিশনার বলেন, এ প্রোগ্রামের আওতায় কালোবাজারিদের দ্বারা যাতে সাধারণ কোনো কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি রাখতে হবে।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির, শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, প্রথম সচিব কন্স্যুলার মো. মাসুদ হোসেইন, দ্বিতীয় সচিব শ্রম ফরিদ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিমান বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ইমরুল কায়েছ, ইউএস বাংলার অপারেশন ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের ইনচার্জ (জিএসএ) মো. হৃদয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

মালয়েশিয়া সরকারের বিফোরজি প্রোগ্রাম ১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। এ সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট এবং নিশ্চিত (কনফার্মড) বিমান টিকিটসহ আবেদন করতে হবে। একই সঙ্গে জরিমানা ও স্পেশাল পাস বাবদ ৭শ’ রিংগিত জমা দিতে হবে। ইমিগ্রশন কর্তৃপক্ষ আবেদনের এক কার্যদিবসের মধ্যেই স্পেশাল পাস বা বহির্গমনের অনুমতি প্রদান করবে। অনুমতি প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যেই মালয়েশিয়া ত্যাগ করতে হবে।

এ কর্মসূচির কাজ প্রক্রিয়াকরণের কোনো তৃতীয় পক্ষ বা এজেন্ট নিযুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, কোনো মাধ্যম ছাড়াই আবেদনকারীকে সরাসরি নিকটস্থ ইমিগ্রেশন অফিসে হাজির হয়ে আবেদন করতে হবে। যদি কেউ তৃতীয় পক্ষ বা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রদান করে তাহলে জেল-জরিমানা হতে পারে।

আরএস/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]