পর্তুগাল ইমিগ্রেশন হাইকমিশনারের মাল্টিকালচারাল একাডেমি পরিদর্শন

মো. রাসেল আহম্মেদ
মো. রাসেল আহম্মেদ মো. রাসেল আহম্মেদ
প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ২০ জুলাই ২০১৯

ইমিগ্রেশন হাইকমিশনার পেদ্রো কালাদো পর্তুগাল মাল্টিকালচ্যারাল একাডেমি পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ক্যাম্পাসে মতবিনিময় সভা আয়োজিত হয়। এতে বাংলাদেশ কমিউনিটির সমস্যা, সম্ভাবনা ও বিভিন্ন দাবি সরাসরি উপস্থাপন করা হয়।

পর্তুগাল ইমিগ্রেশন হাইকমিশনের সহকারী অফিসার মঈন উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় শুরুতে একাডেমির চলমান বিভিন্ন কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন একাডেমির পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষক সোফিয়া।

এ সময় বক্তব্য দেন একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় পর্তুগিজরা। উপস্থিত ছিলেন লিসবন সিটি কাউন্সিলর রানা তসলিম উদ্দিন, হাইকমিশনের সহকারী ভাসকো মাল্টা, একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল আহম্মেদ, কোষাধ্যক্ষ শওকত আজিজ, আই এস সি টি ই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক সিসিলিয়া, স্থানীয় এন জি ও কর্মকর্তা পেদ্রোসহ আরও অনেকে।

Portugal

পরে আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের মতামত ও অভিজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। হাইকমিশনার আন্তরিকতার সঙ্গে বিভিন্ন আলোচকদের কথা শুনেছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশে পর্তুগিজ হাইকমিশন স্থাপনের ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ে সুপারিশের আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পেয়েছে সভায়।

হাইকমিশনার একাডেমির বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন এবং শিগগিরই একাডেমিকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে যথাযথ সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Portugal

অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. সম্রাট বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে তার আগমনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। আমাদের এই অসামান্য প্রয়াসে তাকে পেয়ে আমরা উজ্জীবিত। এই অভিযাত্রায় তার পদার্পণে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সামনের দিনগুলোতে হাইকমিশনার এবং তার প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।

উল্লেখ্য, পর্তুগাল মাল্টিকালচারাল একাডেমির পর্তুগিজ ভাষা শিক্ষা কোর্স ছাড়াও রয়েছে বাচ্চাদের বাংলা, ইংরেজি, পর্তুগিজ ও আরবি শেখার ব্যবস্থা, অভিবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল কোর্স, নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ফ্রি কম্পিউটার কোর্স ও অভিবাসন আইনজীবীর আইনি সহযোগিতা।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]