নিউইয়র্কে বাংলাদেশি হত্যাকারীর ১৫ বছরের কারাদণ্ড

কৌশলী ইমা কৌশলী ইমা , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ২১ জুন ২০১৯

বাড়িভাড়ার বকেয়া টাকা আদায় করতে গিয়ে বাংলাদেশি ভাড়াটিয়াকে খুনের দায়ে তাহার মাহরানকে ১৫ বছর কারদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি আদালত। গত বৃহস্পতিবার ব্রঙ্কসের সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত ব্যক্তিকে ১০ বছর কারাগারে এবং ৫ বছর প্রবেশনে থাকবে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবেশন বলতে কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে, কারাবদ্ধ না রেখে বা কোন প্রতিষ্ঠানে আবদ্ধ না করে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ প্রদান করাকে বোঝায়।

কোর্টের রায়ে জাকির খানের পরিবারসহ কমিউনিটির অনেকেই পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি। তারা আশা করেছিলেন খুনি মাহরানের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসে বাড়ির মালিক মিসরীয় বংশোদ্ভূত তাহার মাহরানের (৫১) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন বাংলাদেশি জাকির খান (৪৪)। পরে তাকে স্থানীয় জ্যাকোবি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার দিনই মাহরান পুলিশে খবর দিয়ে স্বেচ্ছায় ধরা দিয়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন। পুলিশে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারে অভিযুক্ত করেন।

২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাকিরের মরদেহ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশেই তার মরদেহ দাফন করা হয়।

নিহত জাকির খান ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। জাকির খান নিউইয়র্কে পড়াশোনা শেষ করে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি ব্রঙ্কসে শীর্ষ স্থানীয় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবে কমিউনিটিতে পরিচিত লাভ করেন। নিউইয়র্কের ডেইলি নিউজ পত্রিকায় তাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি তাকে ‘কিং অব রিয়েল এস্টেট অব ব্রঙ্কস’ নামে অভিহিত করে। জাকির খান মূলধারার পাশাপাশি কমিউনিটির নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আলবেনিতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ডে’ পালনের অন্যতম উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি।

জাকির খানের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা স্কুলপড়ুয়া।

জেডএ/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]