মালয়েশিয়ায় শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবালের সমন্বয় সভা
কুয়ালালামপুরে আসছে জুলাইয়ে জমবে ৪র্থ শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবাল নামে বিশেষ ট্রেড ফেয়ার। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় বিএমসিসিআইয়ের উদ্যোগে ট্রেড ফেয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন রফতানি বাজার খুঁজে পেতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১১ জুলাই অনুষ্ঠেয় শোকেস বাংলাদেশে বাংলাদেশি পণ্যের প্রদর্শনী ছাড়াও পুরো বাংলাদেশেরই শোকেস করা হবে। তুলে আনা হবে নতুন ফোকাস।
শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবালকে সফল করার লক্ষ্যে ১৭ জুন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনফারেন্স হলে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব (বাণিজ্য) মো. রাজিবুল আহসান, বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) এর সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিএমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর জলিল, সহ-সভাপতি রাকিব মোহাম্মদ ফাকরুল, এসিসিসিআইএম এর অ্যাক্রিকিউটিভ অ্যাডভাইজার তানশ্রী দাতু সংসিউ হং, অ্যাক্রপার্টিজ রিসোর্স অ্যাসোসিয়েশন এরার ট্রেজারার তান কেক হং, মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ অ্যাসোসিয়েশন (এমএএসএসএ)এর অ্যাক্রিকিউটিভ সেক্রেটারি এনজি সো ফানসহ মালয়েশিয়া রিটেইলার্স অ্যাসোসিয়েশন।
এ ছাড়া ফেডারেশন অব মালয়েশিয়ান ম্যানোফ্যাক্চারার্স, ইসলামিক চেম্বার অব কমার্স, প্রাণ ফুডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সময়োপযোগী এ উদ্যোগ বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশকে আরও প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। বাংলাদেশি বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সেক্টরের পেশাজীবীরা অংশ নেবেন।
শোকেস বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্যের রফতানির সুযোগ তৈরি করাই টার্গেট থাকবে বাংলাদেশের। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে ফোকাস করা হবে।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম আসন্ন শোকেস বাংলাদেশ গো-গ্লোবাল নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যকার মুক্তবাণিজ্য (এফটিএ) স্বাক্ষরের পথ প্রশস্ত হবে। বর্তমানে ৯৩টি বাংলাদেশি পণ্য মালয়েশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। মালয়েশিয়া ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর করলে সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি অনেক বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশই বাংলাদেশকে এ ধরনের সুবিধা প্রদান করছে। মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পাট-পাটজাত পণ্য, মসলা, চামড়া- চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, আলু, শাক-সবজি, সিরামিক টেবিল ওয়্যার, হিমায়িত মাছ, তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, টেকসটাইল ও হালাল খাদ্য পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
বাণিজ্য সুবিধার কারণে চীনের বাজারেও বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র ও ব্যবসায়িক পার্টনার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে আসছে। দেশটি বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বড় বাজার।
বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য দুই বিলিয়ন ডলার। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
এমআরএম/জেআইএম