প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর : আশার আলো দেখছে দূতাবাস
বিদেশি শ্রমিকদের জন্য দরজা খুলছে জাপান। শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে যে আটটি দেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে সূর্যোদয়ের দেশটি; তার তালিকায় রাখেনি বাংলাদেশের নাম। কর্মসংস্থানের সুযোগ নির্ভর করছে জাপান সরকারের ওপর। তবে এখনো আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আজ সকালে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা এমন মন্তব্য করেন।
এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরে বাংলাদেশিদের আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। প্রবাসীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ দূতাবাসকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতেমা বলেছেন, ‘জাপানে বসবাসরত বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজার। অদক্ষ শ্রমিক যেমন আছে, তেমনি বিশেষায়িত ক্ষেত্রে সফল প্রবাসী বাঙালির সংখ্যাও কম নয়। দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশই শিক্ষার্থী। কর্মসংস্থানের সুযোগ নির্ভর করছে জাপান সরকারের ওপর। তবে এখনও আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ দূতাবাস।’
আগামী পাঁচ বছরে সারাবিশ্ব থেকে জাপান তিন লাখ ৪৫ হাজার শ্রমিক নেবে। তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নাম নেই। তবে তালিকা সংশোধন করে বাংলাদেশের নাম দিতেও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
গত এপ্রিলে মানবসম্পদ আমদানিতে মাত্র ৯টি দেশের অনুমোদন দিয়ে আইন করেছে জাপান। যার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে নেপাল। তবে এখনো আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমার। শ্রমিক নেয়া দেশের তালিকায় নেপালের নাম রয়েছে বলেও জানিয়েছে অন্য একাধিক সংবাদমাধ্যম।
প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাজার সম্প্রসারণে সবচাইতে লোভনীয় বাজার জাপান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এবং দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হলে বাংলাদেশের জন্য খুলে যেতে পারে দেশটির শ্রমখাত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ দিনব্যাপী তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে ২৮ মে জাপানের রাজধানী টোকিওর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এমআরএম/এমকেএইচ