সারওয়াকের গভর্নরের সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ১৬ মে ২০১৯

দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে ঐক্যমত পোষণ করেছেন সারাওয়াক প্রদেশের গভর্নর তুন পেহিন সেরি হাজি আবদুল তাইব মাহমুদ। স্থানীয় আরটিএন মিডিয়া সূত্র জানায়, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ সারাওয়াকের গভর্নর তুন পেহিন সেরি হাজি আবদুল তাইব মাহমুদের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে গভর্নর এ আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সকল সেক্টরে বাংলাদেশের সঙ্গে সিস্টেমেটিক দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী।

এদিকে গভর্নরের সঙ্গে আলাপকালে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে। সে মোতাবেক বাংলাদেশ থেকে প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ লোক নিয়োগ যেহেতু মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি করে শ্রম নিয়োজন শুরু করেছে সেহেতু সারওয়াক রাজ্য সরকারকেও অনুরুপভাবে শ্রম নিয়োজনের জন্য অনুরোধ করা হলে গভর্নর আশা প্রকাশ করেন এবং বলেন যে, সারওয়াক নিজস্ব নিয়মকানুন ও পলিসি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সাক্ষাৎকালে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের নির্যাতিতরা বিপুল পরিমাণে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং বাংলাদেশ এ সকল অসহায় লোকদের পাশে থেকে যে মানবতার দৃষ্টান্তস্থাপন করেছে তাতে সাধুবাদ জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। রোহিঙ্গা সমস্যার আশু সুষ্ঠু সমাধান প্রত্যাশা করেন গভর্নর তুন পেহিন সেরি হাজি আবদুল তাইব মাহমুদ।

Mal-2

 

এ ছাড়া রাজ্যের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন। এ সময় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠককালে রাজ্যের ব্যাবসায়ীরা কর্মীর চাহিদার কথা জানান। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহিন এবং উপসচিব আবুল হোসেন, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল।

এ ছাড়া সারওয়াকের বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি সকলকে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অপপ্রচার থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করেন। তিনি বাংলাদেশের আইটি, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান।

এসআর/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]