রোমে কানেক্ট বাংলাদেশের তৃতীয় বর্ষপূর্তি

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ০৫ মে ২০১৯

ইতালির রোমে কানেক্ট বাংলাদেশের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালন করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন ও প্রবাসীদের অধিকার’ স্লোগান সামনে রেখে ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল প্যারিসে একটি সম্মেলনের মাধ্যমে কানেক্ট বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করে।

প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কানেক্ট বাংলাদেশ তাদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ মে সন্ধ্যায় রোমের রসই রেস্টুরেন্টে ইতালি কানেক্ট বাংলাদেশের সমন্বয়কদের উদ্যোগে তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালন করা হয়।

কানেক্ট বাংলাদেশ ইতালির সমন্বয়ক কাজী জাকারিয়ার সঞ্চালনায় সভায় সংগঠনের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য দেন কানেক্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শামসুল আলম পাখি, আঁখি সীমা কাউসার।

Italy2

কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কাজি জাকারিয়ার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রথমেই সব সমন্বয়কদের পরিচয় করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। কানেক্ট বাংলাদেশ ইতালি সমন্বয়ক কমিটির সমন্বয়ক ডা. সাইদুর রহমান লস্করের সভাপতিত্বে, কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা পরিষদের সদস্যা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক আখি সিমা কায়ছার ও মো. সামছুল হক পাখী কানেক্ট বাংলাদেশ সংগঠনের প্রতিষ্ঠার আদর্শ উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘এই সংগঠন বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিশ্বজুড়ে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দাবি উপস্থাপনা ও আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সব প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠনে যুক্ত হতে আহ্বান জানানো হয়।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মজিবের রহমান মহান মে দিবেসের শ্রমিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রামের বস্থনিষ্ঠ তথ্যবহুল ইতিহাস তুলে ধরেন।

Italy3

উপস্থিত অতিথির বক্তব্যে রোমের সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গণের পরিচিত নারী উদ্যোক্তা লায়লা শাহ, সাংবাদিক লুতফুর রহমান কানেক্টে বাংলাদেশ সংগঠনের প্রতিষ্ঠার বর্ষবরণে অভিনন্দন জানান। অন্যদের মধ্যে প্রবাসী সাংবাদিক জমির হোসেন, রিয়াজ হোসেন ও আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সকল বক্তব্যের সারমর্ম অত্যন্ত সুন্দরভাবে কানেক্ট বাংলাদেশ সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরে সভার সঞ্চালনায় কাজী জাকারিয়া প্রতিটি বিষয় নিয়ে সুন্দর ভূমিকা উপস্থাপন করেন। সভা পরিচালনার জন্য ও উপস্থিতদের ধন্যবাদ জানিয়ে কেক কাটার পর সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন সভাপতি।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]