শত বাধা উপেক্ষা করে নিউইয়র্কে নববর্ষ উদযাপন

কৌশলী ইমা কৌশলী ইমা , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাফেলোতে ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশি মুসলমানদের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জাঁকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও বাংলা নববর্ষ। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রস্থ বাংলাদেশি অ্যান্ড আমেরিকান সোসাইটি আয়োজিত প্রথমবারের মতো আয়োজনে বাফেলোসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি শহরের প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেয়।

baffalo-indep

বাংলাদেশি অ্যান্ড আমেরিকান সোসাইটির সভাপতি আবুল বাশারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান মুজিব ও আবুল বাশারসহ আরও অনেকে।

baffalo-indep

বাংলাদেশি অ্যান্ড আমেরিকান সোসাইটির সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ‘বাফেলোতে বাংলাদেশিদের বসবাস শুরু হয়েছে প্রায় দুই দশক ধরে। গত দশ বছরে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চারগুণ। কিন্তু বাফেলোতে প্রবাসী কিংবা নতুন প্রজন্মের জন্য বাংলা সংস্কৃতি চর্চা নেই। সেখানে আজ পর্যন্ত দেশের জাতীয় দিবস ও বাংলা বর্ষবরণ পালন করেনি কেউ।’

baffalo-indep

তিনি বলেন, ‘আমরা সকল বাধা উপেক্ষা করে বাংলা চর্চা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু করলাম। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিশু কিশোরদের জন্য আগামীতেও আমরা এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো।’

baffalo-indep

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরের চেয়ে বাফেলোতে জামায়েতে ইসলামীর সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি। সে কারণেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সাংস্কৃতি চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অনেকেই। কিন্তু আজ আমরা সেই বাধা পেরিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলাম। শিগগিরই বাফেলোতে একটি বাংলা স্কুল ও সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র চালু করা হবে এবং আগামী গ্রীষ্মে একটি পথমেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

baffalo-indep

দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন নিউইয়র্ক থেকে আগত অতিথি শিল্পী শাহরিন সুলতানা, কানেকটিকাট থেকে আগত শিল্পী কৌশলী ইমা ও সুমাইয়াহ সুখ। সঙ্গে ছিলেন নিউইয়র্কের জনপ্রিয় তবলা বাদক চামেলী গোমেজ। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠনটির দিন তারিখ ঘোষণার পর থেকে স্থানীয় কতিপয় ধর্মপ্রাণ বাংলাদেশি মুসলমান বিভিন্ন ফতোয়া দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতাসহ অনুষ্ঠানটি বানচালের চেষ্টা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের জোরালো পদক্ষেপের ফলে তা সম্পন্ন হয়।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]