জায়ানের মৃত্যুতে জর্ডান বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের শোক
শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান চৌধুরী নিহত হয়েছে (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জর্ডান কেন্দ্রীয় কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জর্ডান কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আসাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক এ.এস. শ্যামল সরকার বলেন, ‘জায়ানের মৃত্যুতে আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিরাও গভীরভাবে শোকাহত। এ ছাড়া নিরীহ জনসাধারণের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’
প্রত্যাশা করি, অনতিবিলম্বে মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হবে। পাশাপাশি শিশু জায়ান চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত ও আহত মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্স-এর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জর্ডান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কোহিনূর রহমান।
উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় গীর্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে ২৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার সকালের দিকের এই সিরিজ হামলায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৫০০ জন।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির সরকার এক বিবৃতিতে নিহতের সংখ্যা ২৯০ জন বলে জানায়। কিন্তু সরকারের এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর দেশটির পুলিশ বলছে, রাজধানী কলম্বজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায় ২৯০ জন নিহত ও আরো ৫০০ জন আহত হয়েছেন।
ইস্টার সানডের সকালে কলম্বোর বিলাসবহুল সিনামুন গ্রান্ড, শাঙ্গরি-লা ও কিনসবুরি হোটেল ও কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি গীর্জা, নেগোমবোর সেন্ট সেবাস্তিয়ান গীর্জা ও বাত্তিকালোয়ার জিওন গীর্জায় ওই হামলা হয়।
দেশটির প্রধান এবং প্রসিদ্ধ গীর্জাগুলো ইস্টার সানডের দিনে আক্রান্ত হতে পারে বলে ওই সতর্কবার্তায় জানান তিনি। রোববার সকাল ৮টার দিকে প্রথম বিস্ফোরণের খবর আসে। সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে নিহতের সংখ্যা ততই লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটির ইতিহাসে এই হামলাকে কালো অধ্যায় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
বোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পুরো দেশে কারফিউ বলবৎ থাকবে। আগামী সোম ও মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কবির হোসেন সেলি/এমআরএম/পিআর