জাপানে মুজিবনগর দিবস উদযাপন

ফখরুল ইসলাম
ফখরুল ইসলাম ফখরুল ইসলাম , জাপান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বুধবার যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন করেছে। বিকেলে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

Japan3

তিনি বলেন, ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে ‘সরকার’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। স্বাধীন সরকার ছাড়া স্বাধীন রাষ্ট্র কল্পনাই করা যায় না। সেই প্রেক্ষাপটে ১৭ এপ্রিল ‘‘মুজিবনগর দিবস’’ আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্য দিন।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশি সাংবাদিক ও বন্ধুদের উপস্থিতিতে সরকার গঠন বাংলার মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনুপ্রাণিত করেছিল। এ ছাড়া ভৌগলিক ও কৌশলগত কারণে মুজিবনগর ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

Japan3

পরে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় প্রবাসী নেতারা বলেন, ‘সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অস্ত্রভয় উপেক্ষা করে আমাদের জাতীয় নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেইন এম. মনসুর আলীকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে শপথগ্রহণ ও স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকার গঠন করেন।

মুজিবনগর থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের পথ চলা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা মুজিবনগর তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবিনশ্বর হয়ে থাকবে। বক্তারা মুজিবনগর সরকার গঠনের তাৎপর্য ও সঠিক ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ বিষয়ে আরও গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]