মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে হাইকমিশনারের বৈঠক

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৯

মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ওয়াইভি সিনেটর লিউ চিন তং এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন কুয়ালালামপুরে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম। দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে এই বৈঠক করেন হাই কমিশনার।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হাজী মোহাম্মদ বিন সাবুরের সঙ্গে এ নিয়ে দু’বার বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের হাই কমিশনার।

Maleshia1

বৈঠকে মহ. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা এয়ার কমডোর মো. হুমায়ূন কবির। এ সময় তারা আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং মালয়েশিয়া বাংলাদেশের শ্রমবাজার, কর্মরত শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। 
বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীর সিদ্ধান্তের কারণে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভূয়সী প্রশংসা করেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষাপ্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে মালয়েশিয়া বাংলাদেশের পাশে আছে। একই সঙ্গে আশিয়ান দেশ সমূহের সঙ্গে আলোচনা করে সামগ্রীক পরিবেশ রক্ষায় রোগিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে সুষ্ঠু সমাধানের প্রত্যাশা করেন মন্ত্রী।

মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সামরিক সহকারী কর্নেল আব্দুল রহমানসহ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Maleshia

হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘দু,দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মালয়েশিয়া আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের সু-সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। আশা করি আগামীতেও দু’দেশের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মালয়েশিয়া প্রবাসীদের জন্য সঙ্কট নয়, অসাধারণ সম্মানবোধের জায়গা। আমরা দেশটিতে এখন কেবল শ্রমখাতে নয়, অন্যান্য সব খাতেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি।’

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]