কানেকটিকাটে সংগীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা

কৌশলী ইমা কৌশলী ইমা , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৯

প্রতি বছরের মতো এবারো যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে সংগীত একাডেমি আয়োজন করেছে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। শনিবার (৬ এপ্রিল) ম্যানচেস্টারের কমিউনিটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেল ৫টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে আলোচনা, কবিতা আবৃত্তিসহ সংগীত একাডেমির শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দেখে মুগ্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত দর্শকশ্রোতারা। সংগীত একাডেমির পরিচালক কৌশলী ইমার পরিচালনায় এবং ফারহানা রশিদ লুনা ও সিলভিয়া কুহু রিবেরুর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নিউইয়র্ক প্রবাসী জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী মিলন কুমার রায়, কৌশলী ইমা, রশিদা আখন্দ লাকী ও মার্ক হাওলাদার রনি।

USA

কবিতা আবৃত্তি করেন প্রবাসের জনপ্রিয় আবৃত্তিকার গোপন সাহা। এ ছাড়া একাডেমির শিক্ষার্থীরা একক ও সমবেত সংগীত পরিবেশন করে শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন। এরা হলেন সুমাইয়াহ সুখ, তাসমিহা আমীর, বর্ষা সরকার, অনিন্দিতা চক্রবর্তী, ব্রিয়ানা বিশ্বাস, মার্সিয়া আহসান মিশু, ফিহা আমির অরোরা, অ্যানিশা বৈরাগী, আরিয়ানা বৈরাগী, উপমা সরকার, গুঞ্জন সরকার, রিয়া হোসেন, ও আনুশকা রহমান।

নৃত্য পরিবেশন করেন অনিন্দিতা চক্রবর্তী। শিল্পীদের তবলায় সহযোগিতা করেন প্রবাসের জনপ্রিয় তবলাবাদক খুশবু আলম। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে একাডেমির শিক্ষার্থী ও অতিথি শিল্পীদের হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন ম্যানচেস্টার প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ।

USA

কানেকটিকাটের সংগীত একাডেমি গত ১২ বছর ধরে বাঙালির নিজস্ব সর্বজনীন প্রাণের উৎসবসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের শতচেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রমে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাংলা ভাষা ও বাংলা গান শেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট সংগীত একাডেমি।

USA

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে কৌশলী ইমা বলেন, সংগীত একাডেমির শিক্ষার্থীরা সকলেই প্রবাসে বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ছেলেমেয়ে। তারা বাংলায় প্রশ্ন করলে ইংরেজিতে উত্তর দেয়। এসব ছেলেমেয়েরা সংগীত একাডেমির মাধ্যমে বাংলাভাষা ও গান শিখেছে খুব নিখুঁতভাবে। তাদের গান পরিবেশনা দেখে অভিভাবকসহ উপস্থিত দর্শকশ্রোতারা সবাই মুগ্ধ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে ছেলেমেয়েদের সম্পৃক্ত রাখার জন্য এ প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসআর/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]