মালয়েশিয়ায় হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয় মিলেছে

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০১৯

মালয়েশিয়ায় যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১১টায় দেশটির কে এল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এমএএস কার্গো, জালান এস-৮ পেকেলিলিংয়ের পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই বাংলাদেশিসহ ৯ জন নিহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাসচালকসহ মারা যান আরও দু’জন।

বাসটি শ্রমিকদের নিয়ে গতকাল রাতে নীলাই, নেগরি সেম্বিলান থেকে এয়ারপোর্ট অভিমুখে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের মধ্যে নেপাল, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।

সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ৩৪ জন।

maleshia

নিহত বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনের মধ্যে ২ জন চাঁদপুর, ২ জন কুমিল্লা ও ১ জন নোয়াখালীর রয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন, চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার দেবপুর ৪নং ওয়ার্ডের মো. আনোয়ারের ছেলে সোহেল (২৪), চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চরভাগল ৩নং ওয়ার্ডের মো. আমির হোসেনের ছেলে আলামিন (২৫), কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার দুরলবপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মহিন (৩৭), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসানপুর কলেজ পাড়ার ঢাকাগাঁও গ্রামের মো. ইউনুস মুন্সির ছেলে মো. রাজিব মুন্সি (২৭) ও নোয়ালী জেলার চাটখিল থানার নোয়াখোলা ২নং ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদের ছেলে গোলাম মোস্তফা।

এ ছাড়া পরিচয় পাওয়া আহত বাংলাদেশিরা হলেন- সেরডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান হোসাইন (২১) মোহাম্মদ নাজমুল হক (২১), মোহাম্মদ রজবুল ইসলাম (৪৩) এবং পুত্রাজায়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ ইউনুস (২৭), জাহিদ হাসান (২১), শামীম আলী (৩২) ও মোহাম্মদ রাকিব (২৪)। চিকিৎসাধীন ৮ জনের মধ্যে ৪ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

কে এল আই এয়ারপোর্টের ওসিপিডির সহকারী কমিশনার জুলকিফলি আদম শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় বাসটি ৪৩ জন শ্রমিক বহন করছিল। তারা এমএএস কার্গোতে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন।’

maleshia

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাই কমিশনের লেবার কাউন্সিলার জহিরুল ইসলাম ছুটে যান ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে সারডাং, বান্তিং ও পুত্রাযায়া হাসপাতালে দেখতে যান হতাহতদের।

লেবার কাউন্সিলার জহিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘নিহত বাংলাদেশি ৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে। যারা নিহত হয়েছেন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত তাদের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি হতাহতদের ক্ষতি পূরণ আদায়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]