লেবাননে বর্ণিল আয়োজনে এশিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত

বাবু সাহা
বাবু সাহা বাবু সাহা লেবানন
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ এএম, ০৭ এপ্রিল ২০১৯

লেবাননের হাদাতে লেবানন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এশিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল। মেলায় স্বাগতিক লেবানন ও বাংলাদেশসহ এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের দূতাবাস তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী খাবার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প নিয়ে অংশগ্রহণ করে।

গত বৃহষ্পতিবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পযর্ন্ত অনুষ্ঠিত এই মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ লেবাননে অবস্থানরত প্রবাসীরা উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নেন।

লেবাননের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করা হয়। এরপর লেবানন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ আইয়ুব স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করানো এবং অন্যান্য দেশ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান প্রসারিত করতেই এই আয়োজন।

lebanon

এসময় লেবাননের বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকারসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন।

লেবানন ও বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন এতে অংশগ্রহণ নেয়।

মেলায় বাংলাদেশ দূতাবাসের স্টলে খাবার পরিবেশন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডিক্রাফট, খাবার তৈরির উপকরণ, মসলা, পর্যটন সংশ্লিষ্ট বুকলেট ও লিফলেট প্রদর্শন ও বিতরণ করা হয়। এসময় মনিটরে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটনের ওপর ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

lebanon

মেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দর্শক ভিড় করে বাংলাদেশি স্টলে। বাংলাদেশি বিরিয়ানি, পরোটা, মাংসের কারি ও পায়েসের স্বাদ গ্রহণ করে দর্শকরা বাংলাদেশি খাবারের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে। এশিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ দূতাবাস বৈরুতের স্টলটি অনানুষ্ঠানিকভাবে সেরা স্টলের স্বীকৃতি লাভ করে।

এসময় এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা এই মেলায় অংশগ্রহণ করে আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পর্যটনসহ উন্নয়নশীল বাংলাদেশকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা আমাদের দেশকে লেবানন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষার্থীসহ লেবাননের জনগণের সামনে তুলে ধরতে পেরে খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

এমবিআর/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]