অস্ট্রেলিয়ায় ‘হারমনি ডে অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন সাংবাদিক আজাদ

মো. মুখলেছুর রহমান (মুকুল)
মো. মুখলেছুর রহমান (মুকুল) মো. মুখলেছুর রহমান (মুকুল) , সহ-সম্পাদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ০১ এপ্রিল ২০১৯

‘সুন্দরই সত্য, সত্যই সৌন্দর্য’ জন কিটসের এই কথার মাধ্যমে বলা যায় মানুষ সব সময় সত্য ও সুন্দরের পিয়াসি। সমাজে বাস করতে গেলে মিলে মিশে থাকতে হয়। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা দেখানো সমাজের একটা অংশ।

সেটা যে কোনো সংস্কৃতির হোক না কেন। অন্যের সংস্কৃতিকে সম্মান দেখাতে পৃথিবীতে সবচেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। হারমনি ডে তারই একটা অংশ। অস্ট্রেলিয়াজুড়ে মার্চ মাসে পালিত হয় হারমনি ডে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বেশি অভিবাসী হয়ে আসে। তাদের সমাজ, সংস্কৃতি, আচার-আচরণ, ধর্ম, খাবার সবকিছু আলাদা। একে অন্যের প্রতি সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভালোবাসা দেখাতে এই হারমনি ডে সৃষ্টি।

সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ডে কেয়ার ও চাইল্ড কেয়ারসহ সব জায়গায় হারমনি ডে পালন করা হয়। এদিন বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে আসেন আর তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয় গান, নাচ, অভিনয়, পোশাক ও খাবার ইত্যাদির মাধ্যমে।

১৯৯৯ সাল থেকে দেশটিতে ২১ মার্চ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বিভিন্ন সামাজিক ও বাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপস্থাপন করে।

হারমনি দিবস উদযাপনে পারস্পরিকভাবে বিভিন্ন অভিবাসীদের ঐক্য, ঐতিহ্যগত কর্মক্ষমতা, পোশাক, সঙ্গীত, শিল্প, খাদ্য এবং আরও অনেক কিছু দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

২১ মার্চ সিডনির রিভারউড কমিউনিটি সেন্টারে ক্যান্টারবারি ও বাংকসটাউন হারমনি গ্রুপের অধীনে বার্ষিক ১৩তম ‘হারমনি ডে’ অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে ‘জাগো নিউজের অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ খোকনকে ‘হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়া অ্যাম্বাসেডর ও ‘মিডিয়া ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন মন্ত্রী জিহাদ ডিপ ও হারমনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট (সিটি কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র) কার্ল সালেহ।

আজাদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন মাল্টিকালচারাল সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছেন। খোকন অস্ট্রেলিয়ার সংগঠন ‘হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়’র অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া তিনি মানসিক স্বাস্থ্য এডুকেটর ও মাইন্ডফুলনেস এডুকেটর, ওয়াক ফর রিসপেক্ট, জাস্টিস অব দ্য পিস ও ক্লিন আপ অস্ট্রেলিয়াসহ আরও অনেক দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত প্রায় ১১ বছর।

গত দেড় শতক ধরে দেশে ও প্রবাসে তিনি প্রগতিশীল কাজ করে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নারায়ণগঞ্জের কৃতী সন্তান রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বহুবার।

এছাড়া সাংবাদিক আজাদ খোকনের জাতীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য অ্যাওয়ার্ড রয়েছে- অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড নোমিনেশন সার্টিফিকেট, ভলেন্টারি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট, সিটিজেন অব দ্য ইয়ার সার্টিফিকেট, হারমনি ডে অ্যাওয়ার্ড, স্টার অ্যাওয়ার্ড, কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড, পার্লামেন্ট অ্যাওয়ার্ড।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]