নানা আয়োজনে ওমানে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দেশের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ছিল নানা আয়োজন। যথাযথ মর্যাদায় ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাসে উদযাপিত হয়েছে ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিনের শুরুতেই দূতাবাস চত্বরে পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত গোলাম সরওয়ার।
এ সময় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বাংলাদেশি অভিবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাসে। দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ আনোয়ারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভাপতিত্ব করেন ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সরওয়ার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দূতালয় প্রধান মোহাম্মাদ নাহিদ ইসলাম, লেবার কাউন্সিলর সুজাউল হক, পাসপোর্ট অফিসার আবু সাঈদ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম গোলাম সরওয়ার গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীর শহীদকে। স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদের বিজয় অর্জিত হয়েছিল। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ওমানের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ওমানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রকম সেবা দ্রুত ও সহজে প্রদান করার জন্য দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত ওমানের অভিবাসী বাংলাদেশিদের ওমানের আইন-কানুন মেনে চলার বিশেষ অনুরোধ করেন।’
দূতাবাসের প্রধান মোহাম্মাদ নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ওমানের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে।’
এ সময় বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা স্বাধীনতার তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল বীরশহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এমআরএম/পিআর