মালয়েশিয়ায় শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশিরা

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৯
মারিয়া মাহবুব নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া (ডানে)। বৃষ্টি খাঁতুন সাবা সেগী কলেজ কোটা দামানসারা মালয়েশিয়া (বামে)।

এশিয়ায় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশের শিক্ষার্থীরা দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাঙ্খিত শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি নেতৃত্বেও রয়েছেন।

প্রতিনিয়তই দেশের মান উজ্জ্বল করে চলেছেন শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মধ্য দিয়ে। মালয়েশিয়া নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি মারিয়া মাহবুব। কোটা দামনসারা সেগি ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজের স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিলেটের বৃষ্টি খাতুন সাবা।

মারিয়া মাহবুব মালয়েশিয়ার নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র সংসদের সিনিয়র গ্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ২০১৮ ও ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের সিনিয়র গ্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নির্বাচিত হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

malesia3

মারিয়া মাহবুব দুটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, একটি সৌর বৃক্ষ যা ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে এবং কারিগরি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কার কুলিং ডিভাইস। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতা মাহবুব আলম শাহের মেয়ে মারিয়া মাহবুব (২১)। মেয়ের এই সাফল্যে বাবা মাহবুব আলম শাহ বলেন, ‘আনিশা শুধু পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেনি, সে বাংলাদেশের মুখও উজ্জ্বল করেছে।’

মারিয়া মাহবুব শনিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া হতে পারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার চমৎকার ও সাশ্রয়ী গন্তব্য। মানের দিক দিয়ে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা এখনও এশিয়ার চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের পর্যায়ে না গেলেও দেশটি এ বিষয়ে বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট নেতৃত্বে থাকায় ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। সর্বোপরি একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত।

malesia4

লন্ডন প্রবাসী সিলেটের বিশ্বনাথের দৌলতপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে বৃষ্টি খাতুন সাবা (২১)। মালয়েশিয়ার কোটা দামানসারা সেগি কলেজে ট্যুরিজম হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে পড়ছেন। সেগি কলেজের স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, সেগি অ্যাডভেঞ্চার গার্লস ক্লাবের ফাউন্ডার এবং প্রেসিডেন্ট। ফুড ফ্যাস্টিভ্যালে মালয়েশিয়ার বাহিরে শ্রীঙ্কা ও দুবাই গিয়েছেন। প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিন তিনবার শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পেয়েছেন বৃষ্টি খাঁতুন সাবা।

সাবা তার সাফল্যের কথা এ প্রতিবেদকের কাছে তুলে ধরেন। বলেন, একটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করলে ভালো স্টুডেন্ট হওয়া সম্ভব। আর একজন ভালো স্টুডেন্ট পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় গিয়ে ঠেকবে না। তারা নিজের মতো করে মানিয়ে নিতে পারবে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক ভালো স্টুডেন্ট এখানে আসেন। মালয়েশিয়া দিনেদিনে এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্বের দিকে।

malesia5

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মালয়েশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা আরও একধাপ এগিয়ে। এখানে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও। পড়াশোনার পাশাপাশি অনেক দেশের শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিচয় হয়। জানা যায় তাদের দেশের কৃষ্টি, আচার-আচরণ। তাদের সঙ্গে শেয়ার করি আমাদের দেশের কালচার। সবকিছু মিলিয়ে একটা মিশ্র অভিজ্ঞতা অর্জন হয়।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]