বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাঙালির উন্নয়ন
যার যার অবস্থান থেকে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় শামিল হওয়ার এবং এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রবাসীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল।
তিনি বলেন, ‘জীবনব্যাপী বঙ্গবন্ধু তার পর্বতসম ব্যক্তিত্ব, সাহসিকতা ও অপরিসীম ভালোবাসা নিয়ে সাধারণ জনগণের কাতারে জীবন কাটিয়ে ছিলেন। তার স্বপ্ন ও পরিকল্পনাজুড়ে ছিল কেবল বাঙালি জাতির উন্নয়ন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি তা বাস্তবায়নে পর্যাপ্ত সময় পাননি।
নেদারল্যান্ডের দি হেগস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের কাছে এ আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পরিবার এবং সন্তানাদি নিয়ে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ দূতাবাস সোমবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। রাষ্ট্রদূত বেলাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং বাঙালি জাতির প্রতি তার অপরিসীম মমত্বের চিত্র তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধুকে হারানো জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেবার জন্যও তিনি আহ্বান করেন।
উপস্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরুণ কর্মকর্তাদের বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন থেকে শিক্ষা নিয়ে পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে যাবার, তাদেরকে জানার আহ্বান জানান যাতে করে তারা সাধারণ জনগণের ভাবনা-চিন্তাকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে।
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রদূত শিশুদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসার বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করেন। তিনি উপস্থিত শিশু কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়ার জন্য এবং বঙ্গবন্ধুকে তাদের জীবনে আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অনুসরণের উপদেশ দেন।
আলোচনা পর্বে নেদারল্যান্ডের আওয়ামী লীগের নেতারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জয়নাল আবেদীন, মোস্তফা জামান এবং নেদারলান্ডসের ক্লিজেন্ডাল ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণরত বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান পাকিস্তানিদের অন্যায় নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি জনগোষ্ঠীকে একতাবদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্ব এবং সে ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে। এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।
জেপি/এমআরএম/এমএস