বিদেশি কর্মী নিয়োগ : স্বাধীন কমিটির প্রতিবেদন উঠছে মন্ত্রিসভায়
মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় স্বাধীন কমিটির প্রতিবেদন শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন হবে। সাতটি প্রধান নীতির ওপর ভিওি করে এ রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সাতটি বিষয় হলো- জাতীয় নীতি, নিয়োগ নীতি, কর্মসংস্থান নীতি, প্রত্যাবর্তন নীতি, অনথিভুক্ত শ্রমিকদের নিয়মিতকরণ, স্থায়ী ও উদ্বাস্তু এবং ন্যায়বিচারের অ্যাক্সেস।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী এম কুলাসেগারান বলেন, বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত স্বাধীন কমিটির (জেকেবিপিপিএ) পরামর্শ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই তা কার্যকরের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে।
গত ১৪ মার্চ এক অনুষ্ঠানে কুলাসেগারান বলেন, প্রধানমন্ত্রী জেকেবিপিপিএ’র ১২ সদস্য এবং কমিটির সভাপতি হিসেবে সাবেক আপিল আদালতের এক বিচারককে নিযুক্ত করেছেন। কমিটিকে আইন, অর্থনীতি ও শ্রমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিওিতে প্রতিবেদন তৈরি করতে বলা হয়েছে। তারা সেভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।
প্রতিবেদনটি প্রস্তুতে বেশ কয়েকটি টাউন হল সেশন এবং সারাদেশে অনুষ্ঠিত ফোকাস গ্রুপের বিভিন্ন আলোচনার আটটি সেশন থেকে পরামর্শ সংগ্রহ করা হয়েছে। শ্রম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থা, নিয়োগকর্তা, কর্মচারীসহ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবাপ্রদানকারী ইউনিয়ন, সংসদ সদস্য, এনজিও, নাগরিক সমাজ সংগঠন, উৎস দেশসমূহের দূতাবাস, আন্তর্জাতিক সংস্থা, শিক্ষাবিদ ও জনসাধারণের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় এমপি সু কিং সিওনগের মন্ত্রী কুলাসেগারানের কাছে বিদেশিকর্মী নিয়োগের বিষয়ে নতুন নীতির বিস্তারিত বিবরণ জানানোর দাবি জানান। মন্ত্রী সেসময় বলেন, মূলত সাতটি বিষয়কে প্রধান্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরির পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- জাতীয় নীতি, নিয়োগ নীতি, কর্মসংস্থান নীতি, প্রত্যাবর্তন নীতি, অনথিভুক্ত শ্রমিকদের নিয়মিতকরণ, স্থায়ী ও উদ্বাস্তু এবং ন্যায়বিচারের অ্যাক্সেস।
কুলাসেগারান বলেন, বিদেশীকর্মীদের নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনায় স্বাধীন কমিটির প্রতিবেদন শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে এবং এরপর তা সকার কাছে উন্মুক্ত করা হবে।
গত বছরের আগস্ট মাসে বিদেশিকর্মীদের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক এ স্বাধীন কমিটি গঠন করা হয়। এসপিপিএ সিস্টেমের পেছনের দুর্নীতির কারিগরদের কারসাজিতে সিন্ডিকেট ও অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে এবং সব দেশের জন্য সমন্বিত পদ্ধতি চালুর লক্ষ্যে বিদেশিকর্মী রিক্রুটমেন্ট, এমপ্লয়মেন্ট এবং রিপাট্রিয়েশনের বিষয়ে সুপারিশ দেয়াই কমিটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ কমিটি বাংলাদেশ থেকে কর্মী বাছাই, নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় প্রেরণ, কজে যোগদান, বেতন-ভাতা, আবাসন এবং মেয়াদ শেষে দেশে ফেরত পাঠানো সম্পর্কিত সব প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করেছে। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার যৌক্তিক খরচ এবং সঠিক অভিবাসন প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবে।
এমএআর/জেআইএম