বাংলাদেশি রাসেলের ইতালিতে আলোড়ন সৃষ্টি

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি ইতালি
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৯

ইতালিতে এমবিবিএস ডাক্তার হলেন বাংলাদেশি রাসেল মিয়া। তার এ খবরে দেশটিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব পাদোভা থেকে মেডিসিন ও ল্যাবরেটরি বিভাগের প্রফেসর মারিও পেলেবানি আনুষ্ঠানিকভাবে এমবিবিএস-এর সার্টিফিকেট তুলে দেন।

গত মাসে রাসেল মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ছয় বছর সাধনার পর ইচ্ছা পূরণ হয়েছে বলেও জানান তিনি। বাংলাদেশিসহ ইতালিয়ানদের মাঝে এই খবর এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে ইতালি গণমাধ্যমেও খবরটি বেশ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে রাসেল মা-বাবার সঙ্গে ইতালি পাড়ি জমান। বাংলাদেশ থেকে আসার পর ইতালি ভেনিসের একটি স্কুলে সেকোনদা মেডিয়া (উচ্চ মাধ্যমিক হাইস্কুলে) ভর্তি হন। এরপর কলেজ শেষ করে পাদভা ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগে ভর্তি হলে গত মাসে একজন এমবিবিএস ডাক্তার হন।

southeast

এ প্রসঙ্গে সদ্য ডাক্তার হওয়া রাসেল বলেন, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত, বিদেশের মাটিতে ডাক্তার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে
পেরেছি। এর থেকে গর্বের বিষয় কী হতে পারে।’ প্রথমত আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের সহযোগিতা ছাড়া কখনো ডাক্তার হতে পারতাম না।’

আরও পড়ুন > ‘বাবা-মায়ের অবদানে আমার ডাক্তার হওয়া’

তিনি বলেন, ‘মানুষের ইচ্ছে আর চেষ্টা ঠিক থাকলে লক্ষ্যে পৌঁছানো সময়ের ব্যাপার। একটা ম্যাসেজ দিতে চাই ইতালি প্রবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য। শুধু লন্ডনে ভালো লেখাপড়া হয় তা কিন্তু নয় ইতালিতেও ভালো পড়াশোনা করে নিজেকে গর্বিত শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ার সুযোগ রয়েছে। সেজন্য লেখাপড়ায় অনেক বেশি মনোনিবেশ করতে হবে।’

southeast

সদ্য এ ডাক্তার বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’ রাসেলের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙা থানায়। দেশের বাড়িতে অসহায় মানুষদের চিকিৎসা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মা রওশন আরা বেগম গৃহিণী, বাবা সুলতান মিয়া ব্যবসায়ী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। ছোট ভাই রুবেল মিয়া বর্তমান ফার্মাসিস্ট হিসেবে পড়াশোনা করছেন। ছোট ভাই রিফাত মিয়া চতুর্থ শ্রেণি পড়ছে।

পর্যটন নগরী ভেনিসের মেসরে ষোল বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন রাসেল। এ বিষয়ে মা রওশন আরা বেগম বলেন, ‘ছেলের এই কৃতিত্বে নিজেকে গর্বিত মা হিসেবে ভাবতে ভালোই লাগছে। সে আমার লালিত স্বপ্নকে পূরণ করেছে। প্রবাসীরা মনে করেন রাসেলের এই অর্জন শুধু তার একার নয় সমগ্র বাংলাদেশের।’

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]