আর্জেন্টিনা বইমেলায় ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৯

আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করবেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কবি সালেম সুলেরি। মেসি-ম্যারাডোনার দেশে ২৩ এপ্রিল থেকে বসছে জমজমাট এ বইমেলা।

ল্যাটিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ এ মেলায় তিন বাংলার গ্লোবাল প্রেসিডেন্ট সালেম সুলেরির নেতৃত্বে ঢাকা, কলকাতা, নিউইয়র্ক, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী একুশজন কবি লেখক সাহিত্য সফরে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের লা-রুরুাল ফেয়ার গ্রাউন্ডে টানা ২০ দিনের মেলায় এবারই প্রথম উড়বে লাল সবুজের পতাকা। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ‘বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে থাকবে দুই দেশের জাতীয় পতাকা। প্যাভিলিয়নে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত শতাধিক গল্প-উপন্যাস, রম্যরচনা, ভ্রমণ কাহিনি, শিশুসাহিত্য, আত্মজীবনী, ছড়ার বই, ঈদসংখ্যা, লিটল ম্যাগাজিন, গবেষণা কর্ম, ভাষাশিক্ষার বই থাকবে।

এ ছাড়া রান্নাবান্না, হেলথ টিপস, ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বই গুরুত্ব পাচ্ছে। বইয়ের সিডি, পর্যটনের সিডি, শিশুদের গেমস-এর সিডিও থাকবে। এ বিষয়ে চেম্বারের সভাপতি আর্জেন্টিনা প্রবাসী তালুকদার আলীম আল রাজী বলেন, ‘বিশ্ব ফুটবলের সাড়া জাগানো তারকা মেসি-ম্যারাডোনার দেশে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত মাতৃভাষা যথাযথ সম্মানের সঙ্গে তুলে ধরা হবে’।

তিনি বলেন, ‘ভাষার জন্য রক্ত কেবল আমরাই দিয়েছি। আর্জেন্টাইনদের কাছে সেই সংগ্রামের কথা আমরা তুলে ধরবো।’ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীসহ শতাধিক বই এবার মেলায় আসবে। এ ছাড়া মেসি-ম্যারাডোনাকে নিয়ে লেখা কবি সালেম সুলেরী’র দ্বিভাষিক পদ্য সবার কাছে সমাদৃত হবে বলে আশা করছি।

বৃহত্তর এ মেলায় প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। প্রথম তিনদিনের সেমিনারে বিভিন্ন দেশ থেকে আমন্ত্রিত হন বিশেষজ্ঞ লেখকেরা। ল্যাটিন আমেরিকার সঙ্গে বই-ভিত্তিক সেতুবন্ধের বিষয়াবলী গুরুত্ব পাবে। ১২ হাজারেরও বেশি কবি, লেখক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পেশাজীবী, আবৃত্তিশিল্পী অংশ নেবেন। ছড়াকার, কার্টুনিস্ট, মানবাধিকার কর্মী, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মীরাও যোগ দেবেন।

‘এবিসিসিআই’য়ের প্রতিনিধিরা বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]