খুনের নগরী লন্ডন

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০২ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডনে প্রতিনিয়ত যে পরিমাণ মানুষ ছুরিকাঘাতে আহত ও খুন হচ্ছে তাতে লন্ডনকে খুনের নগরী বললে খুব একটা ভুল হবে না। মাত্র ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ঘাতকের ছুরিতে রক্তাক্ত হয়েছে ৫ জন। শুধুমাত্র ২০১৮ সালেই লন্ডনে খুনের ঘটনা ঘটেছে ১৩২টি আর ২০১৯ সাল শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত খুন হয়েছে ১৭ জন, এর মধ্যে গত ৯ দিনে খুন হয় ৬ জন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘাতকের ছুরি কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রাণগুলো। একটি খুনের রক্ত শুকানোর আগেই অন্যের রক্ত ঝরাচ্ছে এই ঘাতক। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার লন্ডনে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ৫ বার রক্ত ঝরিয়েছে এই ঘাতক ছুরি।

মঙ্গলবার রাত ৯টা ১১ মিনিটের দিকে ইস্ট লন্ডনের ইলফোর্ডের ক্রেনব্রোক রোডে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয়ে ২০ বছর বয়সী যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে নর্থ লন্ডনের এনফিল্ডে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরপর দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে এই এনফিল্ডেই ৩০ বছরের আরেক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে আহত হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর বিকেল ৭টা ৩০ মিনিটে ওয়েস্ট লন্ডনের সাওথ রিজলিপ স্টেশনে এক স্কুল ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করা হয় এই ঘটনার রেশ না কাটতেই প্রায় দুই ঘণ্টা পর ইস্ট লন্ডনের রোমফোর্ডে ১৮ বছরের আরেক তরুণকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

এর আগে, ২৫ শে ফেব্রুয়ারি টাওয়ার হেমলেটসে এক শিশুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারি খুন হন সাওথ লন্ডনে ব্রিক্সটনের ২৩ বছর বয়সী এক তরুণ। ১৮ ফেব্রুয়ারি আরেকজন খুন হন সেন্ট্রাল লন্ডনের ক্যামডনে।

ছুরিকাঘাতে সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে কিশোর এবং তরুণরাই বেশি জড়িত। লন্ডন মেয়র সাদিক খান ছুরি দিয়ে সংগঠিত এই অপরাধ মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কমিউনিটি গ্রুপ এবং ইউথ অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং ভোক্তভোগী পরিবারের খবর নিচ্ছেন।

মেয়র ইতোপূর্বে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সংগঠিত অপরাধ মোকাবেলায় ইয়াং লিডার ফান্ডে ৪৫ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন এবং এই অপরাধ মোকাবেলায় আরো অতিরিক্ত ২৩৪ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছে।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]