মুক্তিযুদ্ধে হারানো বাবাকে জাদুঘরে পেলেন ছেলে

ফিরোজ আহম্মেদ বিপুল
ফিরোজ আহম্মেদ বিপুল ফিরোজ আহম্মেদ বিপুল
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

লন্ডনের কমিউনিটিতে সবার পরিচিত মুখ, প্রবাসী রাজনীতিক ও শিল্প সংস্কৃতির অঙ্গনে নিবেদিত প্রাণ শহীদ পরিবারের সন্তান জামাল খান। শহীদ নুরুল খানের ৬ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে জামাল খান সবার ছোট।

জন্মের আগেই মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় তিনি তার বাবাকে হারান। ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে শোনা গল্প ছাড়া বাবাকে নিয়ে তার কাছে আর কোনো স্মৃতি নেই। বাবা নামক শব্দটির প্রতি তার যেমন ভালোবাসা তেমনি বাবার পরশ, স্নেহ মমতা না পাওয়ার যন্ত্রণা বোধ কাজ করছিল।

বাবার স্মৃতির খোঁজে সন্তান জামাল খান ও পরিবার বহুদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। অবশেষে ২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার ঢাকার বিজিবি সদর দফতরের সংরক্ষিত আৰ্কাইভ থেকে জামাল খান সংগ্ৰহ করেছেন বাবার ছবি এবং কাজের সময়কালীন গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ও ফাইল।

এই প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে ১৯৭২ সালে জন্ম নেয়া সন্তান জামাল যেন ফিরে পেলেন তার মুক্তিযোদ্ধা পিতাকে। সিলেটে অবস্থানরত বিলেত প্রবাসী জামাল খান তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, ব্রিগেডিয়ার লুৎফুর রহমান ও কর্নেল রশিদের প্রতি। তাদের সহযোগিতায় আমি আমার জান্নাত ফিরে পেলাম।’

বলেন, ‘এতগুলো বছর পরে যেন বাবাকে ফিরে পেলাম। শহীদ নূরুল হক খান-এর স্ত্ৰী রাজিয়া বেগমের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানী নগর থানার সিরাজপুর (খন্দকার বাজার, বালাগঞ্জ) গ্রামে। জামালের বড়ভাই সদরুজ্জামান খান লন্ডনের রেডব্রিজের কাউন্সিলার।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]