রিয়াদে বসন্ত উৎসব ও পিঠা মেলা

আব্দুল হালিম নিহন
আব্দুল হালিম নিহন আব্দুল হালিম নিহন , সৌদি আরব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৫৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্তকে এক সঙ্গে বলা হয় ষড়ঋতু। আর বসন্তকে বলা হয় ‘ঋতুরাজ’। শীতের ঝরাপাতার সঙ্গে বসন্ত আসে প্রকৃতিতে। দেশের মানুষ গাছের ডালে নতুন পাতায় দেখতে পায় বসন্তের আগমনী বার্তা।

শীতের ঝরাপাতা মাড়িয়ে আর কোকিলের ডাকের সঙ্গে মিলেমিশে বাংলার বুকে আসে বসন্ত। পহেলা ফাল্গুনে এই বসন্ত উদযাপন করা হয়। এদিন লাল, হলুদ রংয়ের পোশাক পরে খোঁপায় ফুল গুজিয়ে তরুণ তরুণীরা উৎসবে মেতে উঠেন সারা দেশে।

saudi1

দেশের গণ্ডী পেরিয়ে বসন্ত বরণে পিছিয়ে নেই প্রবাসীরাও। প্রবাসে নানা দেশে থাকা বাংলা ভাষাভাষীরা নানা অঙ্গ-সংগঠন থেকে উদযাপন করা হয় দেশীয় সব উৎসব। আর তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরব রিয়াদে উদযাপন করা হয়েছে বসন্ত উৎসব ও পিঠা মেলা।

southeast

ব্যাপক উৎসব আনন্দের মধ্য দিয়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ‘বন্ধু মহলের’ ব্যানারে বসন্ত উৎসব ও পিঠা মেলা আয়োজন করা হয়।

বসন্ত উৎসব ও পিঠা মেলা উপলক্ষে সম্প্রতি রিয়াদের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাঁকজমকপূর্ণভাবে নেয়া হয়েছিল নানা আয়োজন। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে নারী, শিশুরা হলুদ আর লাল রং ম্যাচিং করে মাথায় ফুলের মুকুট পরেছিল। আর পুরুষরা লাল হলুদ পাঞ্জাবিতে ধীরে ধীরে উপস্থিত হতে থাকেন।

saudi2

গভীর রাত পর্যন্ত চলা অনুষ্ঠানে ছিল পছন্দের শিল্পীদের নাচ গান, ছিল নারীদের জন্য বালিশ আর পুরুষদের জন্য ফুটবল প্রতিযোগিতা।

এদিকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রিয়াদের সুস্বাদু খাবার হোটেল প্রিমিয়াম সুইটস-এর মালিক মির রাসেল সুজন, ব্যবসায়ী, মোহাম্মদ আলি, সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ মানিক, পাপ্পু, অনুষ্ঠান সম্পর্কে জাগো নিউজকে জানান। এ ছাড়া তারা বাংলাদেশের কৃষ্টি-কালচার ও সংস্কৃতি সম্প্রর্কেও প্রবাসের সন্তানদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

saudi3

তারা জানান, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সত্যিই আনন্দের। শত ব্যস্ততার মাঝেও সব বন্ধুদের একত্রে করার জন্য আমরা বিদেশে থেকেও দেশের সঙ্গে মিল রেখে আমাদের দেশীয় আয়োজনগুলো করে থাকি। এ ছাড়া প্রবাসীদের সহধর্মীরা পিঠা উৎসবেরও আয়োজন করেছিল।

তারা আরও জানান, সবাই মিলে আমরা এ ধরনের বাৎসরিক আয়োজনগুলো উদযাপন করে থাকি। সব সময় তো আর দেশে যাওয়া সম্ভব হয় না। তবে দেশের স্বাদ বিদেশে মেলে না। আমরা প্রবাসীরা একত্রিত হতে পারে সবার ভেতর এক অন্যরকম আমেজ বিরাজ করে। আমরা আগামীতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান অব্যাহত রাখব বলেও মন্তব্য করেন।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]